অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ইলিশ মাছ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রতীক্ষার হল অবসান। এতদিনে বাংলাদেশের ইলিশ এলো কলকাতায়। বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি গত বুধবার অর্থাৎ ২২শে সেপ্টেম্বর রাতের বেলা এসে পৌঁছায় এ রাজ্যে। তারপর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩শে সেপ্টেম্বর সকাল বেলা থেকেই হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে শুরু হয়ে যায় রুপোলী মাছ ইলিশের বেচাকেনা। বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইলিশের রপ্তানি। কিন্তু তারপর ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ফের পূজার আগেই উপহার হিসেবে ভারতে ইলিশ পাঠাতে রাজি হন।
পুজোর আগে উপহার হিসেবে গত সোমবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে চলতি বছরে ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এই জন্য মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন করে মাছ রপ্তানির সুযোগ করে দেওয়া হয়। এই অনুমতি পাওয়ার মাত্রই বুধবার রাতে এ বছরে প্রথম বাংলাদেশের ইলিশ বোঝাই গাড়ি এসে হাওড়ার পাইকারি মাছের বাজারে। শোনা যাচ্ছে,আগামী ১০ই অক্টোবরের মধ্যে ফের দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ ভারতে আসতে চলেছে। বেশিরভাগ মাছের ওজন এক কেজি বা তার বেশি। কত করে এই মাছ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হবে তা জানা যাবে নিলামের পর।
ব্যবসায়ীদের মতামত অনুযায়ী, হাওড়ার বাজারে দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হতে পারে। কিছুদিনের মধ্যেই এই মাছ ছড়িয়ে পড়বে কলকাতার সব বড় বাজারে। এ বছর সেভাবে ইলিশ আসেনি দীঘা, শংকরপুর, কাকদ্বীপ এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে। মন্দা ছিল ইলিশের বাজার। যতটুকু ইলিশ ধরা পড়েছিল তা প্রায় সবই খোকা ইলিশ। তাই বাংলাদেশের ইলিশ রাজ্যে ঢোকায় এবার বড় ইলিশের ঘাটতি মিটবে বলে সকলের মত।পদ্মার রুপালী শস্য আসতে চলেছে ভোজন রসিক বাঙালির পাতে। খবর সূত্র জানা গেছে,প্রথম ধাপে এই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে ১০০ মেট্রিক টন ইলিশ। মাছ ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন।