নাম ঘোষণা করেছে তালিবান। কিন্তু সেখানেও স্থান দেওয়া হয়নি কোনো নারীকে। নারীরা না পাওয়ায় ফের তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে। তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন মন্ত্রীদের তালিকাটি উপস্থাপন করেছেন। মন্ত্রিসভায় কোনো মহিলার জন্য জায়গা না পাওয়ার বিষয়টিকে নিয়ে কোনো উৎসাহ দেখাননি তালিবান মুখপাত্র। ৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানে, তালিবানরা ঘোষণা করেছে তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যে, তালিবানের কাজ এবং নারীদের সঙ্গে তাদের আচরণ, আগামী দিনে বড় ভূমিকা পালন করবে। তার পাশাপাশি তাদের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে বলেও জানানো হয়। তবে, উপমন্ত্রীদের তালিকা ইঙ্গিত দেয় যে, তালিবানদের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি আন্তর্জাতিক সমালোচনা।
নারীর অধিকার সম-উন্নত রাখার প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তাদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে মৌলবাদী পথে। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেখা গেছে, মন্ত্রী বাছাইয়ের সময়ও কোনও মহিলাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যা তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে, বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিতে সফল হয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের। হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিশিষ্ট নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় এবং তার পাশাপাশি সিরাজউদ্দিন হাক্কানি, আমেরিকান তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত এমনকি আল-কায়েদার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।