আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে পূর্বতন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, বর্তমানে যা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর হিসেবে পরিচিত, তার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এবং যারা ফ্যামিলি পেনশন পান, তাঁদের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ভারতীয় ডাক বিভাগ একাজে সহায়তা করছে। কলকাতা ডক সিস্টেমের পেনশনভোগী এবং যারা ফ্যামিলি পেনশন পান, এ ধরণের ৯ হাজার জনের ব্যক্তিগত তথ্য এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধীকরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কলকাতার মুখ্য ডাকঘর এবং বন্দরের অতিথিশালায় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই শিবিরে যাদের নাম নিবন্ধীকরণ করা হয়নি তাদের জন্য কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, বর্ধমান ও মেদিনীপুরে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। বেহালা, পর্ণশ্রীপল্লী, বরিশা, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ ও হাওড়ায় ১৩-১৮ সেপ্টেম্বর ইতিমধ্যেই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ৬০০র বেশি পেনশনভোগী সেখানে নিবন্ধীকরণের কাজ করেন। ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটে সুবিধার জন্য নির্ধারিত ডাকঘরে এসে পৌঁছালে ডাক পিওনরা প্রবীন নাগরিকদের কাছে গিয়ে নাম নিবন্ধীকরণের কাজটি করেন। এছাড়াও শয্যাশায়ী পেনশনভোগীদের জন্য তাঁদের বাড়িতে নাম নিবন্ধীকরণের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিভিন্ন ডাকঘরে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। ২৩ তারিখ পর্যন্ত কাঁকুড়গাছি, সন্তোষপুর, বারুইপুর, আলিপুর ও হুগলী রবীন্দ্র ভবন ডাকঘরে বিশেষ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বহরমপুর, বজবজ ও তমলুক ডাকঘরে ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর, বর্ধমানে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর, মেদিনীপুরে ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর এবং বেলঘরিয়া, ব্যারাকপুর, টালিগঞ্জ ও যোগাযোগ ভবন ডাকঘরে ২৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়ছে। পেনশন ভোগীরা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেকোন কাজের দিনে কলকাতার মুখ্য ডাকঘরে যোগাযোগ করতে পারেন।
জীবন প্রমান ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির যাচায়ের কাজটি করতে হবে। সূত্রঃ পিআইবি।