২০২১-২২ অর্থবর্ষের, প্রথম ত্রৈমাসিক ১১টি রাজ্য মূলধন ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণ করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১১টি রাজ্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের স্থির করে দেওয়া মূলধনী ব্যয় পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই ১১টি রাজ্য হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ড। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও উৎসাহিত করার জন্য এই ১১টি রাজ্যকে অতিরিক্ত ১৫,৭২১ কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খোলা বাজার থেকে রাজ্যগুলি এই ঋণ সংগ্রহ করতে পারবে, যা সংশ্লিষ্ট ১১টি রাজ্যের মোট রাজ্যস্তরীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ০.২৫ শতাংশের সমতুল। রাজ্যগুলিকে অতিরিক্ত অর্থ সংস্থানের এই সুবিধা তাদের মূলধনী ব্যয় বাড়াতে আরও সাহায্য করবে। রাজ্যভিত্তিক অতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ নিচে বক্সে দেওয়া রয়েছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, মূলধনী ব্যয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুস্তরীয় প্রভাব রয়েছে। এর ফলে, অর্থনীতির উৎপাদনশীল ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং উচ্চহারে আর্থিক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়। সেই অনুসারে, ২০২১-২২-এ রাজ্যগুলির মোট রাজ্যস্তরীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ ঋণ সংগ্রহের ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে বর্ধিত মূলধনী ব্যয় মেটাতে রাজ্যস্তরীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ০.৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলে স্থির হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের ব্যয়বরাদ্দ দপ্তরের স্থির করে দেওয়া বর্ধিত ঋণ সংগ্রহ রাজ্যগুলির অতিরিক্ত মূলধনী ব্যয় মেটাতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন -  “রাজ্যগুলিকে মূলধনী ব্যয়ের জন্য বিশেষ সহায়তা” কর্মসূচির আওতায় ১১,৮৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে

অতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহের সুবিধা নিতে রাজ্যগুলিকে ২০২১-২২-এর প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ ধার্য লক্ষ্যের অন্তত ১৫ শতাংশ পূরণ করা জরুরি। একইভাবে, একটি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ধার্য মূলধনী ব্যয়ের ৪৫ শতাংশ পূরণ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ মূলধনী ব্যয়ের ৭০ শতাংশ পূরণ এবং শেষ তথা চতুর্থ ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ অর্থাৎ, ২০২২-এর ৩১ মার্চের মধ্যে ১০০ শতাংশ মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে হয়।

আরও পড়ুন -  ‘মন কি বাত’ নিয়ে রাহুল, তীব্র বিরোধিতা করেছেন, কারণ ভয়াবহ করোনা

কেন্দ্রীয় ব্যয়বরাদ্দ দপ্তর আগামী ডিসেম্বর মাসে রাজ্যগুলির মূলধনী ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করবে। এই পর্বে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণের হিসাব মূল্যায়ন করা হবে। আগামী মার্চ মাসে তৃতীয় পর্বের পর্যালোচনা হবে। তৃতীয় পর্বে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে রাজ্যগুলির মোট মূলধনী ব্যয়ের ভিত্তিতে এই পর্যালোচনা করা হবে। সেই অনুসারে, যে সমস্ত রাজ্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের অন্তত ৪৫ শতাংশ এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের ৭০ শতাংশ পূরণ করতে সম্ভব হবে, তাদের মোট রাজ্যস্তরীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ০.০৫ শতাংশের সমতুল মূলধনী ব্যয় সংযুক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণে অনুমতি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Suicide: ফুলশয্যার পরের ভোরেই আত্মঘাতী হাওড়ার যুবক

আগামী বছর জুন মাসে রাজ্যগুলির প্রকৃত মূলধনী ব্যয়ের চূড়ান্ত পর্যালোচনা হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্যালোচনা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রকৃত মূলধন ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি এবং প্রকৃত মূলধন ব্যয়ের ধার্য লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে তুলনা করা হবে। সেইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির ঋণ গ্রহণের সঙ্গে ঘাটতি বা বর্ধিত অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহে অনুমতি দেওয়া রাজ্যগুলির তালিকা নিম্নরূপ:

ক্রমিক সংখ্যা

রাজ্য

পরিমাণ (কোটি টাকায়)

১.

অন্ধ্রপ্রদেশ

২,৬৫৫

২.

বিহার

১,৬৯৯

ছত্তিশগড়

৮৯৫

হরিয়ানা

২,১০৫

কেরল

২,২৫৫

মধ্যপ্রদেশ

২,৫৯০

মণিপুর

৯০

মেঘালয়

৯৬

নাগাল্যান্ড

৮৯

১০

রাজস্থান

২,৫৯৩

১১

উত্তরাখণ্ড

৬৫৪

সূত্রঃ পিআইবি।