খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য সরকারের জনমুখি প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার এর জন্য ইতিমধ্যেই জায়গায় জায়গায় ফরম বিলি শুরু হয়ে গেছে। এর জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প অফিস, বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত অফিসে শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। দুয়ারে সরকারের প্রত্যেকটি ক্যাম্পের সামনে লম্বা লাইন। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন যাতে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে কোনোরকম জালিয়াতি না হয়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেকটি ফর্মে আলাদা করে ইউনিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
কিন্তু এত কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও, বিভিন্ন জায়গায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি এবং লক্ষীর ভান্ডার এর ফরম বিলি নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে অনেকের মুখে। এই কারণে ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন কর্তৃপক্ষ। নবান্নের তরফ থেকে সরাসরি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের কোন সদস্য কিংবা কোনরকম ক্লাবের সদস্য কিন্তু এই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত হতে পারবে না। লক্ষীর ভান্ডার এর ফরম ফিলাপ করার জন্য প্রয়োজন পড়লে কলেজ ছাত্র ছাত্রী এবং কন্যাশ্রী সেল্ফ হেল্প গ্রুপ এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। এছাড়াও সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে জেলা শাসকের পরামর্শ করা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন।
আশা কর্মী, অঙ্গনবাড়ি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেও জানিয়েছেন যেন ফরম ফিলাপ করার জন্য যেনো কন্যাশ্রী দের লাগানো যায়। তবে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে বহু আবেদন জমা পড়েছে বলে খবর। তার মধ্যে বেশকিছু আবেদন এমন রয়েছে যেগুলির কোন সারবত্তা নেই এবং সেগুলি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এদিন এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা।
নবান্ন আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছিল গতকাল। সেই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ এবং আরো অনেকেই। সেই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ভুয়ো সার্টিফিকেট কোথায় পাওয়া যাচ্ছে সেই নিয়ে সমস্ত তদন্ত করতে হবে জেলাশাসক কে। যদি সেখানে কোনো রকম জাল সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তাহলে সেই জায়গার জেলা শাসকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে হেল্পলাইন নম্বর অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপভোক্তাদের আবারো সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আবারো সকলের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম শুধুমাত্র লক্ষীর ভান্ডার এর শিবির থেকে পাওয়া যাবে, অন্য কোথাও থেকে এই ফর্ম পাওয়া যাবে না।