বৌদ্ধ তীর্থযাত্রার প্রচারে ‘সীমান্ত পারের পর্যটন’শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের ভাষণ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল বুধবার (১৫ জুলাই) বৌদ্ধ ভ্রমণ অপারেটর সংস্থার আয়োজিত ‘সীমান্ত পারের পর্যটন’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শ্রী প্যাটেল ভগবান বুদ্ধের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মের একটি বৃহৎ সংখ্যক অনুগামী রয়েছেন এবং ভারত হচ্ছে ‘বুদ্ধের ভূমি’। কিন্তু সমৃদ্ধ এই বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি খুব কম সংখ্যক বৌদ্ধ তীর্থ যাত্রীদের আকর্ষণ করেছে। তাই বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মের একটি অংশকে পর্যটক/তীর্থযাত্রী হিসেবে এই দেশের প্রতি আকর্ষণ করা এবং সেই অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর বিশেষ জোর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন -  Monkey Pox: চতুর্থ মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত

সারনাথ, কুশীনগর ও শ্রাবস্তি সহ উত্তরপ্রদেশের ৫টি বৌদ্ধস্থান ও স্মৃতি সৌধ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ স্থানগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আর্ন্তজাতিক নানান ভাষায় তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। সাঁচিতে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসেন। তাই একইভাবে সাঁচি স্মৃতিসৌধে সিংহলি ভাষায় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Pakistan: শাহবাজের প্রস্তাব, ইমরানের সঙ্গে সংলাপের

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হবে। এরফলে পর্যটনের বিকাশ ঘটবে। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের আর্থিক উন্নতি সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটন মন্ত্রক বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় দেশের বৌদ্ধ স্থানগুলির বিকাশ ও প্রচারের জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন -  Sandy Saha: নাইটি পরে উদ্দাম নাচ, ইউটিবার স্যান্ডি সাহা !

বৌদ্ধ পর্যটন প্রচারে অন্যতম সংগঠন হল এই বৌদ্ধ ভ্রমণ অপারেটর সংস্থা। এতে ভারত ও বিদেশ থেকে দেড় হাজার সদস্য রয়েছেন।

এদিনের এই ওয়েবিনারে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনী পর্ষদ, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের পর্যটন ও পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র – পিআইবি।