খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সভায় এ বছরের উচ্চস্তরীয় অধিবেশনে মূল ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আয়োজিত স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টার মধ্যে এই সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সভার সমাপ্তি অধিবেশনে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেজ বক্তব্য রাখবেন।
বার্ষিক উচ্চস্তরীয় এই সভায় সরকার পক্ষ, বেসরকারি ক্ষেত্র, নাগরিক সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শীর্ষ স্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এবারের উচ্চস্তরীয় সভার মূল ভাবনা হ’ল – কোভিড-১৯ এর পর বহুপাক্ষিকতা : ৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রয়োজন।
পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে আয়োজিত হতে চলা এই সভায় বহুপাক্ষিকতা, সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যাগুলির সমাধান খুঁজে বের করা, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও কার্যকর করে তোলা সহ বিশ্বব্যাপী মানুষের কল্যাণে সমস্ত দেশের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে।
২০২১-২২ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসাবে গত ১৭ই জুন ভারতের প্রতি বিপুল সমর্থনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৃহত্তর সদস্য দেশগুলির উদ্দেশে এই প্রথমবার নিজের মতামত পেশ করার সুযোগ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উচ্চস্তরীয় ইকোসক অধিবেশনের মূল ভাবনার সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি প্রতিফলিত হয়। ভারত ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে বহুপাক্ষিক সংস্কারের সমর্থনে ইতিমধ্যেই জোরালো সওয়াল করেছে। ইকোসক – এর উদ্বোধনী সভায় সভাপতি (১৯৪৬ সালে শ্রী রামস্বামী মুদালিয়র) হিসাবে ভারতের ভূমিকার বিষয়টিও পুনরাবৃত্তি ঘটছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ইকোসক – এর ৭০তম বার্ষিকীতে ২০১৬’র জানুয়ারি মাসে মূল ভাষণ দিয়েছিলেন। সূত্র – পিআইবি।