Indian Railways: হাওড়া-বাঁকুড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস: রেলের নতুন উদ্যোগ

Published By: Khabar India Online | Published On:

Indian Railways: হাওড়া-বাঁকুড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস: রেলের নতুন উদ্যোগ।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে বাঁকুড়াবাসীর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এবার আর খড়গপুর হয়ে নয়, সরাসরি হাওড়া থেকে বাঁকুড়ার মধ্যে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে। এই নতুন ট্রেন পরিষেবা চালুর অনুমোদন দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের অনুরোধে।

বাঁকুড়াবাসীদের জন্য সুসংবাদ
আগে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া পৌঁছতে খড়গপুর হয়ে ঘুরপথে যেতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু নতুন হাওড়া-বাঁকুড়া রেলপথ মসাগ্রাম হয়ে সরাসরি সংযুক্ত হলে মাত্র ১৮৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই বাঁকুড়ায় পৌঁছানো যাবে। বিশেষ করে পাত্রসায়র, ইন্দাস, সোনামুখী ও আশেপাশের এলাকার মানুষ এই ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন -  2022 এর আইপিএল সূচি প্রকাশ, CSK vs KKR প্রথম খেলা

কবে থেকে শুরু হবে ট্রেন চলাচল?
রেল সূত্রে জানা গেছে, এই নতুন রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ প্রায় সম্পন্ন। জয়রামবাটি থেকে বড় গোপীনাথপুর পর্যন্ত নতুন রেললাইন ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, আগামী ২৭শে মার্চ পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। সফল পরীক্ষার পর খুব শীঘ্রই যাত্রীদের জন্য ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

আরও পড়ুন -  Dance Video: বাংলা গানের তালে তালে বাড়ির ছাদে দারুন সুন্দর ভঙ্গিমায় নাচ করে অবাক করে দিলেন এই যুবতী, ভাইরাল হয়ে গেল ভিডিও

বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি রেল সংযোগ
শুধু হাওড়া-বাঁকুড়া নয়, এবার বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটিও রেল সংযোগের আওতায় আসছে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে এই নতুন সংযোগ। ফলে হাওড়া থেকে সরাসরি জয়রামবাটি পৌঁছানো আরও সহজ হবে। এই সংযোগ পর্যটকদের জন্যও বিশেষ সুবিধাজনক হবে, কারণ বিষ্ণুপুর তার ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও শিল্পকলা এবং জয়রামবাটি মা সারদার জন্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত।

আরও পড়ুন -  পোস্ট অফিসের বিশেষ স্কিম, মাসে মাসে বাড়ি বসে উপার্জন করুন ৯,২৫০ টাকা, একবার বিনিয়োগেই নিশ্চিত আয়!

উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
নতুন রেল পরিষেবা চালু হলে শুধু বাঁকুড়াবাসী নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ উপকৃত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নতুন এই রেলপথ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করবে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বহুল প্রতীক্ষিত এই রেল পরিষেবা বাঁকুড়া ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের যাতায়াতকে আরও সহজ ও দ্রুত করবে। এই উদ্যোগের ফলে পশ্চিমবঙ্গের রেল পরিষেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।