সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে লেনদেনের সীমা ও আয়কর নোটিশ সংক্রান্ত তথ্য

Published By: Khabar India Online | Published On:

সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে লেনদেনের সীমা ও আয়কর নোটিশ সংক্রান্ত তথ্য।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক কত টাকা রাখা বা একদিনে কত টাকা তোলা সম্ভব? এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি, কারণ নির্ধারিত সীমার বেশি লেনদেন করলে আয়কর বিভাগের নজরে আসার সম্ভাবনা থাকে।

সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে জমা ও উত্তোলনের সীমা
ব্যক্তিগত আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর আইনের বিধান অনুসারে, একটি আর্থিক বছরে (১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ) সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা বা উত্তোলন করা উচিত নয়। যদি এই সীমা অতিক্রম করা হয়, তবে তা আয়কর বিভাগকে অবহিত করতে হবে এবং ব্যাংকও এই ধরনের লেনদেনের তথ্য প্রদান করতে বাধ্য।

আরও পড়ুন -  ৪০,০০০ বেকার যুবক-যুবতীর জন্য চাকরির সুযোগ, রতন টাটার প্রয়াণের পর বড় পদক্ষেপ TCS-এর

ধারা ২৬৯ST অনুসারে নগদ লেনদেনের নিয়ম
আয়কর আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তি একক লেনদেন, এক দিনে একাধিক লেনদেন বা একটি নির্দিষ্ট ইভেন্টের সাথে সম্পর্কিত লেনদেনে সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ গ্রহণ করতে পারেন। এর বেশি হলে তা আইন লঙ্ঘনের শামিল হবে এবং এতে আয়কর নোটিশ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

উচ্চমূল্যের লেনদেনের নিয়মাবলি
যদি কোনও আর্থিক বছরে সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করা হয়, তবে এটি উচ্চমূল্যের লেনদেন হিসাবে গণ্য হবে। এই ক্ষেত্রে, আয়কর আইন, ১৯৬২ এর ধারা ১১৪বি অনুসারে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে আয়কর বিভাগকে অবহিত করতে হয়। এছাড়াও, একদিনে ৫০,০০০ টাকার বেশি জমা করতে হলে প্যান (PAN) নম্বর প্রদান করা বাধ্যতামূলক। যদি প্যান নম্বর না থাকে, তবে বিকল্প হিসেবে ফর্ম 60 বা 61 জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন -  অন্তর্বাস ছাড়াই ক্যামেরার সামনে Parineeti Chopra, প্রতিটি ভাঁজ স্পষ্ট শরীরের

আয়কর নোটিশের প্রতিক্রিয়া ও সমাধান
যদি উচ্চমূল্যের লেনদেনের কারণে আয়কর নোটিশ আসে, তাহলে তহবিলের উৎসের যথাযথ প্রমাণ জমা দিতে হবে। নিম্নলিখিত নথিপত্র উপস্থাপন করা যেতে পারে:
• ব্যাংক স্টেটমেন্ট
• বিনিয়োগের রেকর্ড
• উত্তরাধিকারের নথি

আরও পড়ুন -  Ananya Pandey: অনন্যা পান্ডে গ্রেপ্তার হতে পারেন

যদি তহবিলের উৎস পরিষ্কার না হয়, তবে একজন অভিজ্ঞ কর পরামর্শকের সহায়তা নেওয়া উচিত। সঠিক ডকুমেন্টেশন ও পেশাদার পরামর্শের মাধ্যমে নিজের দাবি প্রমাণ করা সম্ভব এবং আইনি জটিলতা এড়ানো যাবে।

সঠিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব
এই নিয়মগুলি মেনে চললে আয়কর নোটিশের ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে এবং আর্থিক লেনদেনও নিরাপদ থাকবে। তাই ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন এবং ভবিষ্যতে কোনও ধরনের আইনি সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।