রান্নার গ্যাসের দামে বড় ছাড়, নতুন বাজেটে কী পরিবর্তন এলো?
দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এক সুখবর এসেছে। বাজেট ঘোষণার আগেই রান্নার গ্যাসের দামে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। তেল বিপণন সংস্থাগুলি নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে, যা আজ থেকেই কার্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন শহরে কত টাকা দাম কমেছে এবং বর্তমানে রান্নার গ্যাসের দাম কত।
নতুন দামে কী পরিবর্তন?
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম দেশের বিভিন্ন শহরে নিম্নরূপ কমেছে:
• দিল্লি: ১৮০৪ টাকা থেকে কমে ১৭৯৭ টাকা
• কলকাতা: ১৯১১ টাকা থেকে কমে ১৯০৭ টাকা
• মুম্বাই: ১৭৫৬ টাকা থেকে কমে ১৭৪৯.৫০ টাকা
• চেন্নাই: ১৯৫৯.৫০ টাকা থেকে কমে ১৯৫৬ টাকা
তবে, গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত ১৪ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
গৃহস্থালী এলপিজি সিলিন্ডারের বর্তমান দাম
বর্তমানে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য রান্নার গ্যাসের দাম আগের মতোই রয়েছে:
• দিল্লি: ৮০৩ টাকা
• কলকাতা: ৮২৯ টাকা
• মুম্বাই: ৮০২.৫০ টাকা
• চেন্নাই: ৮১৮.৫০ টাকা
• লখনৌ: ৮৪০.৫০ টাকা
বাণিজ্যিক গ্যাসের দামে ছাড় এলেও গৃহস্থালির জন্য রান্নার গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য এটি হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন বাজেট ও মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর
গতকাল সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর করের বোঝা কমাতে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
নতুন বাজেট অনুযায়ী, বার্ষিক আয় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করদাতাদের জন্য আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সরকার কর ছাড়ের প্রস্তাব এনেছে, যা অর্থনৈতিক গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হতে পারে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব ও সরকারি পদক্ষেপ
বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়ছে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ফলে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের উপর চাপ বেড়েছে।
বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাসের দামে ছাড় কিছুটা স্বস্তি দিলেও গৃহস্থালির জন্য রান্নার গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে সরকার এই বিষয়ে আরও কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা।