Samajik Suraksha Yojana: সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প, এককালীন ২.৫ লাখ টাকা ও পেনশন পাওয়ার সুযোগ!

Published By: Khabar India Online | Published On:

Samajik Suraksha Yojana: সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প, এককালীন ২.৫ লাখ টাকা ও পেনশন পাওয়ার সুযোগ!

পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে চালু করেছে একটি বিশেষ প্রকল্প—‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’। রাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য এই প্রকল্প এক বড় সুযোগ হয়ে উঠেছে। এই প্রতিবেদনে জানুন প্রকল্পটির বিশদ বিবরণ।

কারা পেতে পারেন এই প্রকল্পের সুবিধা?
‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ মূলত রাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন সড়কপথ, ভবন নির্মাণ, রেল, সেচ ও নিকাশি ব্যবস্থা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, টেলিফোন টাওয়ার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ, পাইপলাইন তৈরি, টালি-ইট প্রস্তুত, পাথর খাদান ও ভাঙার কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন -  Bangla Awas Yojona: বাড়ি পেতে আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্রকল্পের যোগ্যতা:
• বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৬০ বছর।
• অংশগ্রহণ: আবেদনকারীদের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে নথিভুক্ত হতে হবে।

কী কী সুবিধা মিলবে?
১. এককালীন ২.৫ লক্ষ টাকা:
যদি কোনও শ্রমিক ১৮ বছর বয়সে এই প্রকল্পে যোগ দেন এবং অবিচ্ছিন্নভাবে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকেন, তবে তার অ্যাকাউন্টে জমা হবে প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন -  PM Awas Yojona: কবে আসবে টাকা? মমতা সরকারের বড় ঘোষণা

২. পেনশন:
• অবসরগ্রহণের পর প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পেনশন।
• পেনশন পেতে হলে শ্রমিকদের কমপক্ষে ৫ বছর এই প্রকল্পে নথিভুক্ত থাকতে হবে।

৩. দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ক্ষতিপূরণ:
• সাধারণ মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ৫০,০০০ টাকা।
• দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ টাকা।
• দুর্ঘটনায় শারীরিক অক্ষমতার জন্য ক্ষতিপূরণ ৫০,০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

কীভাবে কাজ করে এই প্রকল্প?
প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকদের কোনো টাকা জমা করতে হবে না। সরকার প্রতি মাসে শ্রমিকদের ‘সামাজিক সুরক্ষা অ্যাকাউন্ট’-এ ৫৫ টাকা করে জমা করবে। ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে এই সঞ্চিত অর্থ শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Durga Pujo: মাস শেষের আগেই পাবেন বেতন, সরকারি কর্মচারীদের পুজোর উপহার মমতা সরকারের

এই প্রকল্প শ্রমিকদের কেবল বর্তমান সুরক্ষা নয়, ভবিষ্যৎ জীবনেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এনে দেবে।

আবেদন করার পদ্ধতি
নির্মাণ শ্রমিকদের স্থানীয় শ্রম দফতরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ শ্রমিকদের জীবনে এক আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। এটি কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে না, বরং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।