One Nation One Election: এক দেশ এক নির্বাচন, মোদি সরকারের পদক্ষেপ, আসছে নতুন বিল।
‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পদ্ধতি কার্যকর করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে এই বিষয়ক একটি বিল পেশ করতে চলেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তে দেশের নির্বাচন খরচ ব্যাপক হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দেশ এক নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঘনঘন নির্বাচনের কারণে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাচ্ছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে একাধিক নির্বাচন আয়োজনের খরচ কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক সাশ্রয় সম্ভব হবে। এই প্রস্তাবের বাস্তবতা যাচাই করতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করে।
তবে বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘুরপথে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেসসহ ইন্ডিয়া জোটের বেশ কয়েকটি শরিক দলও এই বিলের বিরোধিতা করছে।
অন্যদিকে, সরকার বিরোধীদের আপত্তি বিশেষ আমল না দিয়ে বিলটি পেশ ও পাস করানোর জন্য তৎপর। সংসদের চলতি অধিবেশনের ১৪তম দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত চলা শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই বিলটি পাস করানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিল সংসদে পাস হয়ে যেতে পারে।
এই প্রস্তাব নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যে চর্চা তুঙ্গে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পদ্ধতি কার্যকর হলে ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।