তিলোত্তমার অটোপ্সি রিপোর্টে ভয়ংকর তথ্য, গভীর ক্ষত শরীরে ১৪ জায়গায়!
দেশ জুড়ে বিক্ষোভ চলছে আর জি কর (R G Kar) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে শারীরিক অত্যাচার ও খুনের ঘটনায়। সাধারণ মানুষ চাইছেন এই খুনের বিচার হোক, দেশের বহু শহরের চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এতে খুব সমস্যায় পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এবার এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এলো অটোপ্সি রিপোর্ট। এই অটোপ্সি রিপোর্ট দেখলে বা শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে আর জি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের একটা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চলে এসেছে।
১) মৃতদেহে ১৪ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
২) নির্যাতিতার গলার হাড় ভাঙা। হাড়ে রক্তপাতের চিহ্ন আছে। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে থাইরয়েড কার্টিলেজ এবং হাইওয়েড বোন।
৩) নির্যাতিতার গলা এব মুখ চেপে ধরা হয়েছে।
৪) মৃত্যুর আগে অসচেতন করে ধর্ষণ করার ইঙ্গিত মিলেছে।
৫) খাবারে ঘুমের ওষুধের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তাও ফরেন্সিক তদন্ত জরুরি।
৬) এই ঘটনায় হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয় রায়। সে যদি প্রকৃত দোষী হয়, তাহলে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকবে।
৭) মৃতার শরীরে একাধিক নখের আঁচড় এব কামড় রয়েছে।
৮) ক্ষতের লালারসে অভিযুক্তের কোষ মেলার সম্ভাবনা।
৯) গোপনাঙ্গের রসে শুক্রাণু পাওয়া অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সহজ হবে।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি জে এস চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি করা হবে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে চলে গেছে সি বি আই এর কাছে।