প্রধানমন্ত্রী, আরজিকর কাণ্ড নিয়ে সরব স্বাধীনতা দিবসে।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) সারা বাংলা জুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড়। বিশেষ করে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical College Hospital) একজন তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৪ই আগস্ট মধ্যরাতে বহু মানুষ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পথে নেমে প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার প্রতি জনমানসের এই ক্রোধ নতুন মাত্রা পায় মধ্যরাতের সেই নৃশংস ঘটনায়।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। স্বাধীনতার জন্য শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত ২০৪৭” শুধুমাত্র একটি ধারণা নয়, এটি কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নের প্রতিফলন। বিভিন্ন বয়সের মানুষের পরামর্শ ও স্বপ্নগুলির প্রতিফলন রয়েছে এই পরিকল্পনায়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন, স্বচ্ছতা অভিযানের সাথে সাথে ১.৫ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ও ৩ কোটি বাড়িতে জলের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ভারত শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি, আগামী ৫ বছরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৭৫,০০০ নতুন আসন সংযোজনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
যদিও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি আরজিকরের ঘটনার উল্লেখ করেননি, তবুও তিনি নারী সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। নারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বন্ধ করতে সরকারকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী, যাতে অপরাধীদের মনে ভীতি সঞ্চার হয়।