আয়কর আইনে নতুন সংশোধনী ও মধ্যবিত্তের উপর এর প্রভাব।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর আইনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে, যা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে চলেছে। এই সংশোধনীগুলি বিশেষত স্থাবর সম্পত্তির লেনদেন এবং বাড়ি ভাড়া থেকে আয়ের উপর কর প্রয়োগের নিয়মাবলীতে পরিবর্তন আনছে।
প্রথমত, ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করার সময়, একাধিক ক্রেতা বা বিক্রেতা থাকলে, এখন থেকে লেনদেনের উপর ১ শতাংশ টিডিএস (উৎসে কর কাটা) প্রয়োগ করা হবে। আয়কর আইনের ১৯৪-আই ধারায় এই সংশোধনী আনা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ১ লা এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে।
দ্বিতীয়ত, বাড়ি ভাড়া থেকে আয়ের উপর কর প্রয়োগের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অনেক করদাতা বাড়ি ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়কে ব্যবসায়িক আয় হিসেবে দেখিয়ে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছিলেন। এখন থেকে, এই আয়কে সম্পত্তি থেকে আয়ের অধীনে দেখাতে হবে, এবং আয়কর আইনের ২৮ নম্বর ধারা সংশোধন করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।
এই নতুন নিয়মাবলীর ফলে, যারা বাড়ি ভাড়া থেকে আয় করেন এবং সেই আয়কে ব্যবসায়িক আয় হিসেবে দেখিয়ে আয়কর কমাতেন, তাদের এখন থেকে বেশি কর দিতে হবে। এই পরিবর্তন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের আর্থিক পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে।
এই সংশোধনীগুলির মাধ্যমে সরকার আয়কর ফাঁকি রোধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং কর আইনের বিভিন্ন ফাঁকফোকর বন্ধ করতে চাইছে। এই পরিবর্তনগুলি করদাতাদের জন্য আরো স্বচ্ছতা এনে দেবে এবং কর প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করবে। তবে, এই নিয়মাবলীর প্রভাব ও প্রয়োগ নিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে উদ্বেগ। এই পরিবর্তনগুলি কীভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবন ও আর্থিক পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে।