অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সরকারের সহায়তা, নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা ও অনুদানের সুযোগ দিচ্ছে।
প্রতিটি পদক্ষেপে জন্য আর্থিক সংস্থান অপরিহার্য। অনেকে চাকরির মাধ্যমে এবং অনেকে ব্যবসার মাধ্যমে (Business Plan) এই প্রয়োজন মেটান। বর্তমানে, অনেকেই ছোট ও বড় ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। চাকরির অভাবে অনেকে ছোটখাটো ব্যবসায় ঝুঁকছেন। তবে, পুঁজির অভাব অনেকের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মূলধনের অভাবে অনেকেই ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা থেকে পিছু হটছেন।
ব্যবসা মানে লাভ ও ক্ষতির হিসাব। ব্যবসা শুরু করা মানে লাভ ও ক্ষতি উভয়ই থাকবে। অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন ব্যবসা করলে লাভের পরিমাণ বাড়বে এবং ব্যবসার জন্য জরুরি মূলধন কীভাবে পাওয়া যাবে?
এই প্রতিবেদনে তাদের জন্য রয়েছে এক লাভজনক ব্যবসা পরিকল্পনা।
উদ্যানপালন উন্নয়ন মিশনের অধীনে বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে লাভ অর্জন সম্ভব। এই স্কিমগুলির সুবিধা নিয়ে কৃষক এবং এফপিসি, এফপিও আর্থিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। যে কোনো চাষি যদি মশলা চাষ করেন, তাহলে তিনি বিশেষ সুবিধা পাবেন। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রকল্প খরচের ৬০ শতাংশ হিসেবে সর্বাধিক ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পাওয়া যাবে। পেঁয়াজ সংস্করণের কাঠামো প্রস্তুত করতে চাইলে, সমগ্র প্রকল্প খরচের অর্ধেক টাকা অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে। সর্বোচ্চ অনুদান প্রতি ইউনিটে ৮৭,৫০০ টাকা।
৯ মিটার×৬ মিটারের ফলের প্যাকিং হাউস তৈরির ক্ষেত্রে, প্রকল্প খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যাবে, অর্থাৎ প্রতি প্যাক হাউস পিছু সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা। ৮ হর্স পাওয়ার বা তার বেশি ক্ষমতার টিলার কিনতে গেলে, মোট খরচের ৪০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যাবে, অর্থাৎ প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৫,০০০ টাকা। গ্রিন হাউস ঘর তৈরির ক্ষেত্রে, প্রকল্প খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান পাওয়া যাবে, অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে ৫৩০ টাকা।