Web Series: নেট জগতে আবার ঝড় তুলেছে রোমান্সে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজটি, বাচ্চাদের সামনে একদম দেখা যাবে না।
Web Series টি ১৮+ উর্দ্ধের জন্য। এখন উল্লু ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ রিলিজ করছে।
বর্তমান যুগে বিনোদনের ধরনগুলোর মধ্যে অন্যতম ও দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মাধ্যম হল ওয়েব সিরিজ। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের পরিপূরক হিসেবে ওয়েব সিরিজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক সিরিজ যা সাধারণত নির্দিষ্ট থিম বা গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় এবং বিভিন্ন এপিসোডে ভাগ করা হয়।
ওয়েব সিরিজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর সহজলভ্যতা এবং বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে এই সিরিজগুলো উপভোগ করা সম্ভব, যা একে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছে। এছাড়া, ওয়েব সিরিজের নির্মাতারা টেলিভিশন বা চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা পান, যা তাদেরকে নান্দনিক এবং সাহসী বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়। তাই আমরা ওয়েব সিরিজে এমন কিছু কাহিনী এবং চরিত্রের মুখোমুখি হই যা মূলধারার মিডিয়ায় কমই দেখা যায়।
বর্তমানে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হুলু, এবং ডিজনি+ তাদের নিজস্ব ওয়েব সিরিজ তৈরি ও প্রচার করছে। এই সিরিজগুলো বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং বিষয়বস্তুতে সমৃদ্ধ, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে। ওয়েব সিরিজের বিষয়বস্তুতে কমেডি, ড্রামা, থ্রিলার, হরর, সাই-ফাই, রোমান্স, এবং ডকুমেন্টারি সহ বিভিন্ন ধরণের গল্প তুলে ধরা হয়।
ওয়েব সিরিজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর সংক্ষিপ্ততা। সাধারণত একটি এপিসোড ২০-৪০ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যা আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে সহজেই সময় করে দেখে নেওয়া যায়। এছাড়া, পূর্ণ সিরিজ একবারে মুক্তি দেওয়ার প্রবণতা দর্শকদেরকে পুরো সিরিজটি একটানা দেখে ফেলার সুযোগ করে দেয়।
সার্বিকভাবে, ওয়েব সিরিজ আধুনিক বিনোদনের জগতে এক নতুন বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। এটি নতুন প্রজন্মের দর্শকদের জন্য বিনোদনের এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে, যেখানে তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট নির্বাচন করতে পারেন। ওয়েব সিরিজের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতে আরও নতুন ও উন্নতমানের কন্টেন্ট উপহার দেবে বলে আশা করা যায়।
ওয়েব সিরিজের এই বিপ্লবের পেছনে আরও কিছু বিষয়বস্তু রয়েছে যা উল্লেখ করা জরুরি। প্রথমত, ওয়েব সিরিজের নির্মাণ প্রক্রিয়া টেলিভিশন বা চলচ্চিত্রের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম খরচে সম্পন্ন করা সম্ভব। এ কারণে অনেক উদীয়মান এবং স্বাধীন নির্মাতা তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের জন্য ওয়েব সিরিজকে বেছে নিচ্ছেন। এটি নতুন প্রতিভাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা সহজেই তাদের কাজ প্রদর্শন করতে পারে এবং বৈশ্বিক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ওয়েব সিরিজ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করে যা মূলধারার গণমাধ্যমে অনেক সময় উপেক্ষিত থাকে। নারীর ক্ষমতায়ন, এলজিবিটি+ বিষয়ক গল্প, মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ওয়েব সিরিজগুলো গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই বিষয়বস্তুগুলো সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে এবং দর্শকদের মধ্যে নতুন চিন্তার জন্ম দিচ্ছে।
তৃতীয়ত, ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া এবং মতামত সহজেই জানা যায়, যা নির্মাতাদের ভবিষ্যতে আরও উন্নত কন্টেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করে। দর্শকদের সঙ্গে এই ইন্টারেক্টিভিটির ফলে ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওয়েব সিরিজের সফলতা পেছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মিত ওয়েব সিরিজ ছাড়াও অন্যান্য স্বাধীন প্রযোজকদের সিরিজও প্রচার করে থাকে। এতে করে দর্শকরা এক জায়গায় বিভিন্ন ধরণের এবং বিভিন্ন ভাষার সিরিজ উপভোগ করার সুযোগ পান।
এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো দর্শকদের জন্য সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সেবা প্রদান করে, যা একদিকে নির্মাতাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেয় এবং অন্যদিকে দর্শকদের জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়।
অবশেষে বলা যায়, ওয়েব সিরিজ বিনোদন জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে এবং এটি আগামী দিনগুলোতে আরও নিত্যনতুন কন্টেন্ট ও উদ্ভাবনী গল্প নিয়ে আসবে। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ইন্টারনেটের প্রসার এই মাধ্যমকে আরও বিস্তৃত করবে এবং আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র বিনোদনই পাই না, বরং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মানসিক বিষয় নিয়ে ভাবার সুযোগও পাই। এই মাধ্যমটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নিয়েছে এবং তা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়।
আজ আবার নিয়ে এলাম সেই রকম একটি ওয়েব সিরিজ। এইটা উল্লুতে কিছুদিন আগে রিলিজ হয়েছে। ওয়েব সিরিজের নাম ‘সুরসুরি লি‘। প্রথম এবং দ্বিতীয় পার্ট রিলিজের পর খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো। সেই জন্য নির্মাতারা রিলিজ করছে এর তৃতীয় পর্বও। দ্বিতীয় পার্ট এর শেষ এপিসোডে দেখা গিয়েছিল সুর ও সুরিলির বিয়ে ঠিক হয়।
সুরি সূরকে প্রথম রাতেই তৈরি হতে বলেন। সুরের মামাতো ভাই বাহুবলীও বিয়েতে উপস্থিত ছিল। এদিকে সুর বাহুবলীকে পছন্দ করেন না। সেই জন্য বিয়ে ভেঙে গেছে। অপরদিকে দাউদের ক্লিনিকে যাওয়ার সময়, কামিনী তার সঙ্গে রোমান্টিক কথাবার্তা বলছেন। তারপর কামিনীর বাড়িতে দাউদ পৌঁছে গিয়েছে।
সেই সময়ে তারা অন্তরঙ্গ রোমান্সে লিপ্ত হয়েছে। সেই সময় তার স্বামী দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে, তখন প্ল্যান বানচাল করে দেয়। তারপর কি করলেন? সব কিছু জানতে দেখে নিতে হবে ‘সুরসুরি-লি‘ তৃতীয় পার্ট। গত ১৫ জুলাই এই ওয়েব সিরিজ রিলিজ হয়ে গিয়েছে।
ওয়েব সিরিজে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিধি মাধবন। তাছাড়া আছেন অঙ্কিতা ডেভ, অজয় মেহরা, জয় শঙ্কর ত্রিপাঠি এবং অঙ্কুর মালহোত্রা প্রমুখরা। ওয়েব সিরিজটি হিন্দি, ইংরেজি, ভোজপুরি, কন্নড়, মালায়লাম, তেলেগু ও তামিল ভাষায় রিলিজ হয়েছে।
এই ওয়েব সিরিজের অন্তরঙ্গতায় যদি যুক্ত হতে ইচ্ছা করে দেখে নিন ওয়েব সিরিজ Ullu অ্যাপে। কিন্তু মনে রাখবেন বাড়িতে একা থাকলে তবেই দেখবেন।