Remal Cyclone:
কলকাতার পুরনো দিনের বাড়িগুলি ‘রেমাল’ এ প্রভাব পড়বে কি?
ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। লণ্ডভণ্ড চালাতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। এছাড়া দুই ২৪ পরগনার সাথে সুন্দরবন এলাকা। একটা পরোক্ষ প্রভাব পড়বে কলকাতার শহরে। কিন্তু কলকাতায় আছে বহু পুরনো দিনের বাড়ি। সেখান কার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় প্রশাসন তাড়াতাড়ি অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও শুরু করে দিয়েছে কলকাতা প্রশাসন। তাদের জন্য সেফ হাউজ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার ক্লাব, কমিউনিটি হলে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার মধ্যরাতে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এখন রেমালের গতিপথ যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, মাঝরাতের আগেই আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
যখন ল্যান্ডফল করবে, সেই সময়ে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে। কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
এই ঝড়ের আগেই প্রশাসনিক কর্তাদের সম্পর্কে চিন্তার কারণ হয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি বিপদজনক বাড়ি জানা গেছে। প্রায় কলকাতায় চার হাজারেরও বেশি বিপদজনক বাড়ি আছে। ঝড়ের সময় সেই চিন্তা আরো খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে যে কোন সময় বাড়ির যে কোন অংশ ভেঙ্গে গিয়ে অঘটন ঘটে যেতে পারে।
এই কারণে বাড়িগুলিকে ফাঁকা করে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সেফ হাউজ তৈরি করার জন্য বেছে নেওয়া হয় শহরের একাধিক স্কুল, কলেজ ও কমিউনিটি হলগুলিকে। আবার এ বছরে ভোটের অন্যান্য বারের তুলনায় কেন্দ্র বাহিনীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই, একাধিক স্কুল আগে থেকেই জওয়ানদের জন্য রাখা হয়েছে। সেই জন্য বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য খানিকটা জায়গার ঘাটতি হচ্ছে।
পুলিশ এবং পুরপ্রতিনিধিরা যেখানে যেখানে এই ধরনের বিপদজনক বাড়ি রয়েছে, সেখানে কতজন বাসিন্দা আছে তার একটা লিস্ট তৈরি করেছেন। আপদকালীন পরিস্থিতিতে তাদের সেই সমস্ত বিপদজনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের তুলে আনা হচ্ছে। আবার কিছু বাসিন্দাদের একটা বড় অংশই বাড়ি ছেড়ে বেরোতে চাইছে না। এতদিন ধরে তারা যে বাড়িতে আছেন, এই সমস্ত মানুষরা কিছুতেই নিজেদের আস্তানা ছেড়ে চলে আসতে চান না। তাদেরকে বুঝিয়ে সেফ হাউজে আনা হয়েছে।