এবার কি ঋতুপর্ণা অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে পা বাড়াচ্ছেন?

Published By: Khabar India Online | Published On:

এবার কি ঋতুপর্ণা অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে পা বাড়াচ্ছেন?

বাংলা বিনোদন।

বাংলা বিনোদন, সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে, যা শুধুমাত্র মনোরঞ্জনের মাধ্যম সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটায়।

নাট্য: থিয়েটার, টেলিভিশন নাটক, ওয়েব সিরিজ।
চলচ্চিত্র: বাংলা চলচ্চিত্র শিল্প সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও খ্যাতির অধিকারী।

মনোরঞ্জন: ক্লান্তি দূর করে, মানসিক প্রফুল্লতা বৃদ্ধি করে।
সামাজিক বার্তা প্রচার: সচেতনতা বৃদ্ধি, সমাজ সংস্কারে ভূমিকা থাকে।
সংস্কৃতি ধারণ ও প্রচার: ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি, মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখে।
অর্থনৈতিক অবদান: কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধি করে।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) জনপ্রিয়তা আরও দিনেদিনে বেড়েই চলেছে থামার কোন স্টপ নেই। সেই ৯০ দশকের প্রথম সারির অভিনেত্রী তিনি। কাজ করেছেন প্রথম সারির প্রায় সকল অভিনেতাদের সাথে।

আরও পড়ুন -  Ritabhari Chakraborty: ঋতাভরী বিছানায় খুনসুটিতে ব্যস্ত, নেটিজেনদের চোখ সরলো না ছবি থেকে

এখন সময় বদলেছে, সিনেমার ধরণ বদল হয়েছে। সেই সাথে সাথে নিজেকেও বদলেছেন ঋতুপর্ণা। নিজেকে কোনো গণ্ডির মধ্যে আটকে না পরে, তরুণ অভিনেতাদের সাথেও কাজ করেছেন। মূলধারার বাণিজ্যিক ছবি থেকে সরে এসে ভিন্ন রকমের সিনেমায় ফোকাস করছেন এখন।

গ্ল্যামারের সাথে সাথে তিনি অভিনয় দক্ষতাও ক্ষুরধার হচ্ছে।

বর্তমানে অনেক অভিনেতা এবং অভিনেত্রীই পা দিয়েছেন রাজনৈতিক জগতে। পোড়খাওয়া নায়িকারা, সকলেই পা বাড়াচ্ছেন রাজনৈতিক জগতে। এবার কি ঋতুপর্ণারও সেই রকম পরিকল্পনা রয়েছে? তিনি কবে আসবেন রাজনীতির দুনিয়ায়?

আরও পড়ুন -  লাঞ্চ ডেটে ঘুরতে বেরোলেন নুসরত, যশের হাত ধরে রবিবার

সম্প্রতি এমনি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ঋতুপর্ণার কাছে। তিনি উত্তরে বলেন, জীবনের রাজনীতিই তিনি ঠিকমতো বোঝেন না। সেখানে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না। ঋতুপর্ণা বলেন, তিনি নাচ, গান, লেখা, সংসার নিয়ে থাকেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি।

ঋতুপর্ণা বলেন, তাঁর ইন্ডাস্ট্রির যে সমস্ত সহকর্মীরা রাজনীতিতে এসেছেন তাঁদের সকলকেই তিনি সম্মান করেন। অভিনেত্রী বলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তিনি রাজনীতির মানুষ নন। তিনি নতুন নতুন জিনিস সৃষ্টি করতে চান।

প্রসঙ্গত, কলকাতার সাথে সিঙ্গাপুরেও সংসার আছে ঋতুপর্ণার। দুই জায়গাতেই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকেন। শুটিংয়ের জন্যও প্রায়ই এদিক সেদিক যেতে হয় তাঁকে। আগামীতে প্রসেনজিতের সাথে একটি ছবিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে। প্রসেনজিতের সাথে তাঁর পঞ্চাশতম ছবি ‘অযোগ্য’ আসতে চলেছে।

আরও পড়ুন -  ‘গুলাব জামুন’ খুব সাহসী ওয়েব সিরিজ রাজসী ভার্মার

ঋতুপর্ণা বলেন, তিনি শুনেছেন এটি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পেতে পারে। তাছাড়া ‘দাবাড়ু’ নামে ছবিতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সাথে অভিনয় করতে চলেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা।

উপসংহার:

বাংলা বিনোদন কেবল মনোরঞ্জনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি সংস্কৃতি ধারণ করে, সামাজিক বার্তা প্রচার করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

ট্যাগঃ
রাজনীতি, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, টলিউড অভিনেত্রী