গ্রাহকদের যাবতীয় মুশকিল আসান রেশন ব্যবস্থায়, ১ লা মার্চ থেকে

Published By: Khabar India Online | Published On:

দরিদ্র মানুষের কাছে এই রেশন ব্যবস্থা (Ration) খুব গুরুত্বপূর্ণ। রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল, গম এবং ছোলা ইত্যাদি পেয়ে থাকেন বহু পরিবার। এই রেশন বন্টন ব্যবস্থায় অনেক সমস্যার কথাও শোনা যায় বহু সময়ে।

যেমন ওজনে কারচুপি। প্রাপ্য পরিমাণের তুলনায় অনেকটা কম সামগ্রী পাওয়া। আবার কার্ডে বরাদ্দ আসেনি বলে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ ওঠে আসে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে। এই সকল অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয়েছে অনেকবার। তাতে দরিদ্র রেশন গ্রাহকরা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছেন।

আরও পড়ুন -  আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের eKYC সময়সীমা বাড়ল

আবার রেশন ডিলারদের প্রতারণা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেও, কিছুতেই বন্ধ করা যায়নি। উল্লেখ্য, বাংলাতেই প্রায় ১৮ হাজার রেশন ডিলার আছে। কোনো ডিলার গ্রাহকদের রেশন বন্টন করেন তখনই সেখানে সরকারি আধিকারিকের হাজির থাকাটা সম্ভব নয়।

এই জন্য কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের তরফে কারচুপি বন্ধ করতে আনা হয়েছে একটি ব্যবস্থা। যদি এই ব্যবস্থা চালু সত্ত্বেও কোনো রেশন ডিলার গ্রাহকদের প্রাপ্য সামগ্রীতে কারচুপি করতে থাকেন, ধরা পড়ে যাবে খুব সহজে।

আরও পড়ুন -  বিশ্ব শান্তি বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন মমতা, আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, আগামী ১ লা মার্চ থেকে চালু হতে চলেছে এই নতুন ব্যবস্থা। সারা দেশেই রেশন বন্টন ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড় বদল। ২০২৪ সালের ১ লা মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হতে চলেছে খাদ্যশস্য। খাদ্য দফতরের তরফে এক উপায় বের করা হয়েছে যার মাধ্যমে সরকারি আধিকারিকরা কন্ট্রোল রুমে বসেই সারা দেশের প্রতি প্রান্তে রেশন ডিলাররা গ্রাহককে কতটা পরিমাণে খাদ্যশস্য দিচ্ছে তার উপরে রিয়েল টাইমে নজরদারী করবেন।

আরও পড়ুন -  Joka Metro: জোকা মেট্রো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে নতুন নিয়মে? যাত্রা শুরু হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে

প্রতিটি রেশন দোকানে ইনস্টল করা হচ্ছে Wating Scale ব্যবস্থা। যেটা ই পশ মেশিনের সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত হবে। কে কত পাচ্ছে, কাকে কতটা চাল-গম দেওয়া হচ্ছে, সেই পরিমাপ সরাসরি ই পশ মেশিনের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ বিভাগের সার্ভারে চলে যাবে। কন্ট্রোলরুমে বসে রিয়েল টাইমে সাথে সাথে দেখা যাবে।