Trina Saha: যখন ক্লাস ইলেভেন তখন প্রথম প্রেম, কার সাথে সম্পর্কে ছিলেন তৃণা?

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রকৃতির সাথে কোকিল বলছে ফাগুন আসতে চলেছে। আবার সেই সাথে আসছে প্রেমের দিনও। টেলিপাড়াতেও কান পাতলে শোনা যাচ্ছে প্রেমের ফিসফাস গুঞ্জন।

সম্প্রতি নিজের প্রথম প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। টেলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের সাথে তাঁর এক দশকেরও বেশি সময়ের ধরে প্রেম, তারপর বিয়ে। জানলে অবাক হবেন, নীল কিন্তু তৃণার জীবনে প্রথম প্রেম নন। কেমন ছিল প্রথম ভালোলাগার দিনগুলির অনুভূতি?

তৃণা জানান, তাঁর প্রথম প্রেম ক্লাস ইলেভেনে। ঠিক ফাইনাল পরীক্ষার আগেই জড়িয়ে পড়েছিলেন এক সম্পর্কে। রেজাল্ট হয়েছিল তথৈবচ। অভিনেত্রী জানান, কার্যত ফেল করতে করতে বেঁচেছিলেন।

আরও পড়ুন -  বসার ঘরটি হোক সবুজ

ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষা শেষ হতেই মা ফোনটি নিয়ে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। সেই প্রথম প্রেমিকের থেকে প্রথম বার ভ্যালেন্টাইনস ডে-র উপহারও পেয়েছিলেন তৃণা। টিউশনের টাকা বাঁচিয়ে কেনা হার আর লকেট। তৃণা বলেন, টিউশন, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কেনা এই উপহার গুলি খুব স্পেশ্যাল হয়, মনেও থেকে যায়।

প্রথম প্রেমপত্রের স্মৃতিও রয়ে গিয়েছে তৃণার মনে এখনও। সেই সময়ে অভিনেত্রীর ক্লাস সেভেন। উত্তর কলকাতায় বনেদি পরিবারে বেড়ে ওঠা তাঁর। রাস্তা থেকে বারান্দায় ছুঁড়ে কাগজ দেওয়া হত। সেই কাগজের সাথেই এসেছিল প্রেমপত্র। পাঠিয়েছিল তৃণাদের সামনের বাড়ির একটি ছেলে। এদিকে বাবা-মাকে বোঝাতে গিয়ে কাহিল হয়েছিলেন তৃণা, তিনি প্রেম করেন না।

আরও পড়ুন -  Christmas Eve: বড়দিনের প্রাক্কালে প্ল্যাকার্ড - হাতে সচেতনতার বার্তা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

নীলও অবশ্য প্রেমপত্র দিয়েই প্রথম তৃণাকে প্রোপোজ করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে ছিলেন এই দুজনে। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেম করার পর বছর তিন আগে বিয়ে করেন। গত ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি দাম্পত্য জীবনের তিন বছর পূর্ণ করে ফেলেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন -  Kanchan-Sreemoyee: আরও কাছাকাছি, কাঞ্চন-শ্রীময়ী !

বিবাহবার্ষিকীতে দুজনেই পাড়ি দিয়েছেন শহর ছেড়ে একটু দূরে। রায়চকে নিরালায় কাটিয়েছেন এই বিশেষ দিন। সংবাদ মাধ্যমকে তৃণা জানিয়েছিলেন, দু দিনের ছুটি নিয়ে রায়চকে ঘুরতে গিয়েছেন তাঁরা। সবটাই নাকি নীলের সারপ্রাইজ। ঘুরতে আসার প্ল্যানিং থেকে শুরু করে বুকিং সবকিছুই করেছেন তিনি। ছুটি কাটিয়েই আবার ফিরেছেন কাজে।