প্রকাশ্যে এলো বড় খবর, বেসরকারি কর্মীদের জন্যে। অক্ষম বা মৃত কর্মীর পরিবাররা গ্র্যাচুইটির বিরাট সুবিধা পেতে চলেছেন। আপনাদের বলি, গ্র্যাচুইটি হল কোম্পানির দেওয়া এমন একটি অফার, যার মাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনার স্বীকার হলে তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে।
নির্দিষ্ট কোন সংস্থায় কর্মরত কোন ব্যক্তি কর্মস্থানে দুর্ঘটনার স্বীকার হলে নিয়োগকারী সংস্থার নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করার পদ্ধতিকেই গ্র্যাচুইটি বলে।
আগে কোন সংস্থায় নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীরা কর্মক্ষেত্রের যোগ দেওয়ার ৫ বছর আগে অবধি দুর্ঘটনার স্বীকার হলে গ্র্যাচুইটি দাবি করা যেত না। ৫ বছর কর্মরত থাকার পর, কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনার স্বীকার হতেন তাহলে তিনি গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারতেন।
এখন কোম্পানির সেই নিয়মে বিরাট পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর গ্র্যাচুইটির জন্য পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। কোম্পানিতে যোগদানের প্রথম দিন থেকে গ্র্যাচুইটি দাবি করার ক্ষমতা পাবেন কর্মচারীরা।
তিনি কত শতাংশ গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারবে তা নির্ভর করবে তাঁর সার্ভিসের সময়ের ওপর। এই ক্ষেত্রে, কোন কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ১ বছরের কম হলে, মূল বেতনের দ্বিগুণ পরিমাণ গ্র্যাচুইটি হিসাবে দেওয়া হবে। চাকরির মেয়াদ ১ বছরের বেশি কিন্তু ৫ বছরের কম হলে মূল বেতনের ৬ গুণ, ৫ বছরের বেশি কিন্তু ১১ বছরের কম হলে মূল বেতনের ১২ গুণ ও ১১ বছরের বেশি কিন্তু ২০ বছরের কম হলে মূল বেতনের ২০ গুণ ও ২০ বছরের বেশি সার্ভিস কাল হলে ৩৩ গুণ পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাবেন।
বলে রাখি, কোম্পানির নিকট থেকে প্রাপ্ত এই গ্র্যাচুইটির উপর কোনরকম ট্যাক্স ধার্য করে না সরকার।