১০০ দিন ধরে নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। এরই মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় ৭০ ভাগই নারী এবং শিশু। আহত হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শনিবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইসরায়েলের কট্টর মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা পাঠাতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হাজারও জনগণ জড়ো হয়। ইসরায়েলের মিত্র এই দেশটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে।
কুয়ালালামপুর থেকে আল জাজিরার ফ্লোরেন্স লুই বলেছেন, “আমরা এখানে এমন লোকদের সাথে কথা বলেছি যারা ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে বিক্ষোভে এসেছেন। লোকেরা প্ল্যাকার্ডও সাথে এনেছিলেন, যাতে লেখা ছিল: ‘গণহত্যা বন্ধ করুন’, সেইসাথে ‘শিশুদের বোমা মারা আত্মরক্ষা নয়’ বলেও লেখা ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে শনিবার বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় তারা ইন্দোনেশিয়ান ও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ান। হাতে রাখা প্ল্যাকার্ডে ‘ইসরায়েলকে বয়কট কর’ এবং ‘এখনই যুদ্ধবিরতি কর’ লেখা ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকেই গাজায় সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। কারণ এই দেশটি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে হাজার হাজার টন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, সেগুলোই কার্যত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বোমাবর্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার কারণে এই প্রতিবাদ আরও জোরদার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।বিক্ষোভে অংশ নেয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট, স্যাংকশান আন্দোলনের নেতা রোশান দাদু বলেছেন, “গাজার জন্য যুদ্ধবিরতি এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব।” লন্ডন, প্যারিস, ভিয়েনা, বার্লিন, আম্মান ও ওয়াশিংটন ডিসি-সহ বিশ্বের বহু দেশের রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ হয়েছে।
সূত্রঃ আল জাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।