Kolkata Metro: এবার নীল দুনিয়ায় প্রবেশ গঙ্গার নীচে মাছেদের ঘোরাফেরা, মেট্রো সফরে নানান অভিজ্ঞতা হবে যাত্রীদের!

Published By: Khabar India Online | Published On:

মহানগরীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে নির্দ্বিধায় ট্র্যাফিক জ্যাম ছাড়াই যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছে এই পাতালরেল। কলকাতার (Kolkata) হৃদস্পন্দন হল মেট্রো পরিষেবা। ১৯৮৪ সালে চালু হওয়া পরিষেবা এখনো এক প্রাচীন এবং অতি আধুনিকতার ঐতিহ্য প্রদান করে চলেছে তিলোত্তমা নগরীকে।

শহরের একাধিক রুটে মেট্রো চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই মেট্রো রেলের বিস্তার বাড়ছে। কলকাতা ছড়িয়ে জেলায় জেলায় এই পরিষেবা পৌঁছে দিতেও উদ্যোগী হয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোর এই বিস্তারে যে প্রকল্পগুলির কথা ভাবা হয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গার নীচ দিয়ে ট্রেন চালানো মানে ‘ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো’ (East-West Metro) যেটা গঙ্গার নীচে দিয়ে যাবে। হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো শীঘ্রই ছুটবে গঙ্গার বুক চিরে।

আরও পড়ুন -  ভারতে করোনায় মৃত্যু হার বিশ্বে সবচেয়ে কম, দেশে কোভিডে মৃত্যু হার ১.৭৬ শতাংশ

প্রস্তুতি প্রায় শেষের মুখে। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-৫ পর্যন্ত রুটে শুরু হয়েছে যাত্রী পরিবহণ। রেল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরেই এই মেট্রো লাইনের কাজ চলছে। এবার গঙ্গার নীচের কাজ সম্পূর্ন হতে চলেছে।

আরও পড়ুন -  পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে হাসপাতালে মমতা, হেলিকপ্টারে জরুরি অবতরণ

প্রশ্ন জাগছে যে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো রেল চললে কি জলের নিচের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা? এই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এবার কলকাতা মেট্রোরেলের তরফে এই ধোঁয়াশা দূর করা হয়েছে। মেট্রোরেলের তরফে জানানো হয়েছে যে, ট্রেনে সফরকালীন সময়ে যাত্রীরা সরাসরি গঙ্গার নীচের দৃশ্য দেখতে পারবেন না। কারণ, কোনরূপ ট্রান্সপারেন্ট ওয়াল ব্যবহার করা হয়নি সুড়ঙ্গের দেওয়ালে। তাই এই খবর শুনে অনেকেই আশাহত হতে পারে।

আরও পড়ুন -  Kolkata Metro: মেট্রো কর্তৃপক্ষ পথ তৈরি করছে আপদকালীন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বউবাজারে কাজ শুরু

যাত্রীদের এই সফরের আনন্দ দিতে মেট্রোরেলের তরফে এক বিশেষ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জানা গেছে, সুড়ঙ্গের যে অংশ গঙ্গার নীচে থাকবে সেখানে নীল রংয়ের এলইডি লাইট ব্যবহার করা হবে। যাত্রীদের বোঝার জন্যই এই ব্যবস্থা করছে রেল। ট্রেন থেকে সরাসরি গঙ্গার মাছ না দেখা গেলে, আলোর মাধ্যমে সুড়ঙ্গের দেওয়াল সাজানো হবে মাছের অবয়ব দিয়ে। যাতে যাত্রীরা কিছুটা হলেও গঙ্গার নীচের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।