সামাজিক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য বেশি প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। একদম কাছের মানুষের, নিজের মানুষের। যার সাথে মন এবং শরীর দুটিই লুটিয়ে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমোতে চায় সবাই।
এই সবকিছুর জন্য প্রয়োজন একটা নির্ঝঞ্ঝাট মধুর ভালোবাসা বা সম্পর্কের। এই সম্পর্ককে ভালো রাখতে খুব দরকার যত্নের। ক্ষুদ্র কাজ করলেই তিক্ততা থেকে মধুরতায় পৌঁছে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। আবার ভাঙনের পথে এগিয়ে যায় এই সম্পর্ক।
সংসারে প্রায় দিনই নারী পুরুষের কলহ লেগেই থাকে বিভিন্ন কারণে। তাই ব্যাহত হয় সংসারের সুখ থেকে শান্তি সবকিছু। একইসঙ্গে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এই সবের জন্য।
তার প্রভাব পড়ে উভয়ের কর্মজীবনের উপর। কিন্তু কিছু কাজ করলেই মেয়েদের সুখী করতে পারেন পুরুষরা। সহজে সেইসব কাজই হল সংসারে সুখের চাবিকাঠি।
১) খোলামেলা কথাঃ দাম্পত্য অথবা প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন পুরুষ এবং নারী উভয়ের সাথে উভয়ের খোলামেলা কথা হওয়াটা জরুরি। তাতে কর্মজীবনের নানান বিষয়, আত্মীয়ের তরফের কোনো বিষয়, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা আর্থিক পরিকল্পনার বিষয়ে দুজনকে দুজনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা দরকার।
একইসঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েও আলোচনা হওয়াটা খুব জরুরি। এমনটা হলেই একটা সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।
২) বাক স্বাধীনতাঃ এই সম্পর্কে কথাবার্তা জরুরি। এই কথাবার্তার জন্য যে জিনিসটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে উভয়ের বাক স্বাধীনতা। সম্পর্কে সব ধরণের কথাবার্তা বলার স্বাধীনতা থাকলে সবাই উভয়ের বোঝাপড়া ঠিকঠাক থাকে। সেই জন্য স্বামী বা স্ত্রী, উভয়ের উভয়কে দুদিক থেকে কথা বলার কমফোর্ট জোন করে নিতে হবে।
৩) ভালো যোগাযোগ রাখাঃ যেকোনো সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখতে গেলে এই যোগাযোগ ভীষণভাবে গুরুত্ব। তাই ভৌগোলিক দূরত্ব থাকলে ফোন মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা দরকার। কিন্তু এক ছাদের তলায় থাকলে সেক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক যোগাযোগ থাকাটা খুব জরুরি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনে এসবের প্রভাব ব্যক্তিবিশেষে আলাদা হয়ে থাকে।