বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা গঙ্গাসাগর মেলা। ভারতের বুকে জনপ্রিয়তা এবং পুণ্যার্থীদের ভিড়ের নিরিখে কুম্ভ মেলার পরেই স্থান এই মেলা। সাগর দ্বীপের দক্ষিণে যেখানে হুগলি নদী বঙ্গোপসাগরে পতিত হচ্ছে।
এই স্থানটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র তীর্থ। সেই জন্য প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন এখানে বহু লোক তীর্থস্নান করতে চলে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কিন্তু বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত অবাঙালি পুণ্যার্থীদের ভিড়ই হয় সর্বাধিক। একটা কথা আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। জীবনে অন্তত একবার এই তীর্থে আসেন উত্তর ভারতের মানুষ।
মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মেলায় আসার জন্য হাওড়া স্টেশনে নামতে হয় সকলকে। সেখান থেকে ডায়মন্ডহারবার হয়ে পৌঁছাতে হয়ে এই দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলায়। লাখ লাখ পুণ্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে প্রতি বছর মেলার আগে থেকেই তাদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে নানা পদক্ষেপ নেয় সরকার।
এবার চালু হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অল্প খরচে আরামদায়ক উপায়ে পৌঁছানো যাবে কপিল মুনির আশ্রম।
গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগেই এবার চালু হলে ক্রুজ পরিষেবা। এবার বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে চড়েই পৌঁছানো যাবে এই দ্বীপে। জানা গেছে, সপ্তাহের প্রতিদিনই চলবে এই ক্রুজ। সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
এই পরিষেবা চালু করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সাধারণ সময়ে সকাল ৯ টায় শুরু হবে এই ক্রুজ চলাচল। কিন্তু মেলার দিনগুলো, মানে ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি অবধি সকাল ৮ টায় শুরু হবে পরিষেবা।
ক্রুজ পরিষেবার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাড়া। ক্রুজে করে যেতে যেমন খরচ হয়, এখানে তার অর্ধেক খরচ হবে। মাথাপিছু মাত্র ৫৩০ টাকা খরচ করেই পৌঁছানো যাবে গঙ্গাসাগরে। এটি হল ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া। যদি কেউ প্রিমিয়াম ক্লাসে যাতায়াত করেন, তাকে খরচ করতে হবে ৬৩০ টাকা। কিন্তু মেলার সময়ে এই ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গেছে। সংস্থার দাবি, অনলাইন এবং অফলাইন, উভয় মাধ্যমেই টিকিট কাটা যাবে।