কাঁপছে কাশ্মীর, মাইনাস ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

জম্মু ও কাশ্মীরে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশ নিচে নেমে গেছে। রবিবার রাজধানী শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শ্রীনগরসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও ২ বা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে সোমবার এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক শৈত্যপ্রবাহ হলেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় তুষারপাতের মাত্রা ছিল অনেক কম। স্থানীয়রা বলেছেন, পুরো ডিসেম্বরে উপত্যকার সমতল অংশে তুষারপাত প্রায় হয়নি। পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতেও তুষার পড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম।

আরও পড়ুন -  Temperature: দক্ষিণবঙ্গে অশনির আগমণে কিছুটা রেহাই দিলেও, উত্তরের জলপাইগুড়িতে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী !

অমরনাথে যাওয়ার পথে পড়ে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগাম শহর।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে পেহেলগামে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার আরও নেমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন -  লকডাউনে আরো গভীর হয়েছে দাম্পত্য জীবন

কাজিগুন্দ এবং কোকেরনাগ শহরে রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এখন কাশ্মীরে শীতের তীব্রতম পর্ব চলছে। সেখানকার প্রচলিত ভাষায় এই পর্বের নাম চিল্লা-ই-কালান। এই পর্বে শীতের তীব্রতা বাড়ে জম্মু ও কাশ্মীরে। অনেক সময় চিল্লা-ই-কালানের সময় কাশ্মীরের বিখ্যাত ডাল হ্রদের জলের ওপররের স্তর তুষারে পরিণত হয়।

পাইপলাইনের জল জমে বরফ হয়ে যায়। সাধারণত ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ৪০ দিন চলে শীতের এই পর্ব।

আরও পড়ুন -  লজ্জায় পরবেন দেখলে, আম্রপালি ও নিরাহুয়া রোমান্সে মাতলেন দরজায় তালা দিয়ে গোটা রাত, VIDEO দেখুন

চিল্লা-ই-কালান পর্ব শেষ হওয়ার পর আসে চিল্লা-ই-খুর্দ বা মৃদু শীত পর্ব। এই পর্ব স্থায়ী হয় ফেব্রুয়ারির প্রথম ২০ দিন। তারপর ফেব্রুয়ারির ২০-২১ তারিখ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যে আবহাওয়া অনুভূত হয় জম্মু- কাশ্মীর উপত্যকায়, তার নাম চিল্লা-ই-বাচ্চা বা শীতের বিদায় পর্ব।

সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।