নিজস্ব সংবাদদাতা, ডায়মন্ডহারবারঃ নাবালিকা পরিচালিকাকে ধর্ষণ ও অত্যাচারের অভিযোগে গৃহকর্তা সহ গ্রেপ্তার তিন।
দীর্ঘদিন ধরে নাবালিকা পরিচালিকাকে ধর্ষণ ও অত্যাচারের অভিযোগ গৃহকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার থানার অন্তর্গত মাধবপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ মাসের ও বেশি সময় ধরে নাবালিকা পরিচালিকার ওপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি ধর্ষণ করতো পরিবার।
শুক্রবার স্থান ীয় একটি ক্লাবে গোটা বিষয়টি জানায় নবালিকার পরিবার। এরপর ক্লাবে সদস্যরা ও নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা ডায়মন্ডহারবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওটা এলাকায়। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার মহকুমারের এসডিপিও মিথুন কুমার দে বলেন, নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থানাতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের শনিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আবেদন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিষয় এক এলাকাবাসী শুভেন্দু বর তিনি জানান, আমরা অনেক ছোটবেলা থেকেই ওই মেয়েটিকে দেখে আসছি। ওই মেয়েটি ওদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকতো। গতকালকের মেয়েটির পরিবারের লোকজন এসে ওই মেয়েটিকে নিয়ে যায় এরপর সমস্ত বিষয়টি মেয়েটি তার পরিবারের কাছে বলে। এরপর নির্যাতিতার পরিবার আমাদের কাছে এসে গোটা বিষয়টি জানায়। মেয়েটির উপর লাগাতার অত্যাচার করতো অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা। গতকালকের মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্ত রাজু সামন্ত মেয়েটির উপর অত্যাচার চালায়। এমনকি বেশ কয়েক মাস ধরে মেয়েটির উপর অত্যাচার চালাতে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটি ভয়ে পরিবারের লোকজনকে জানাতো না।
অবশেষে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজনকে গোটা বিষয়টি জানায়। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছে। আমরা চাই মেয়ে সুবিচার পাক ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আবেদন জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।