শীত এলেই খাবার সম্পর্কে একাধিক ছুঁৎমার্গ আমাদের মনে বাসা বাঁধে। অনেকেই মনে করেন, শীতল আবহাওয়ায় দই ও কলা এড়িয়ে চলা উচিত। এর কারণ, এসব খাবার খেলে নাকি ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সত্যিই কি শীতের দিনে দই ও কলা খাওয়া উচিত নয়? চলুন জেনে আসি পুষ্টিবিদরা কী বলেছেন।
দইয়ের জুড়ি মেলা ভার:
আমাদের প্রিয় দইতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোব্যাসিলাস। এই উপাদান অন্ত্রের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। নিয়মিত দই খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়।
তাই নয়, এই দুগ্ধজাত খাবারটি হলো প্রোটিনের খনি। দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতেও আপনি দই খেতেই পারেন। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম, যা হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে একাই একশো।
গুণের রাজা হচ্ছে কলা:
তারাতারি শরীরে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে কলার জুড়ি নেই। এই ফল হলো পটাশিয়ামের ভাণ্ডার, যা ব্লাড প্রেশার কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
এই ফলে বেশ কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন সি-ও মজুত রয়েছে। প্রতিদিন কলা খেলে যে ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে পারবেন, তা বলাই বাহুল্য! এ জন্য সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে প্রতিদিন একটা কলা হলে ভালো।
শীতে কি দই ও কলা খেতে নেই?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, শীতে দই বা কলা খাওয়ায় কোনো মানা নেই। এই ঋতুতে এই দুই খাবার খেলে ঠান্ডা লাগারও কোনো আশঙ্কা নেই।
মনের ভুল ধারণা আজই বের করে দিন। শীতেও এই দুটি খাবার অনায়াসে খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না ছোট-বড় কোনো সংক্রামক।
যেটা মনে রাখবেন:
যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়, তারা ফ্রিজের দই সরাসরি খাবেন না। তাতে সর্দি এবং কাশির মুখে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। ফ্রিজ থেকে দই বের করে কিছুটা সময় রেখে তারপর খাবেন।
অপরদিকে যাদের বুকে ইতোমধ্যেই কফ বসে রয়েছে, তারা আবার কলা খেয়ে ফেলবেন না। কলা কিন্তু মিউকাস সিক্রেশন বাড়াতে পারে। সেই জন্য ঠান্ডা লাগলে কলা বাদ। সাবধানের মার নেই।
ছবিঃ সংগৃহীত।