অভিনয় শুরু করেছিলেন ‘অপরাজিতা অপু’-র মাধ্যমে সুস্মিতা দে (Susmita Dey)। ধারাবাহিকের টিআরপি যথেষ্ট ভালো ছিল। এই ধারাবাহিক অফ এয়ার হওয়ার পর স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘বৌমা একঘর’-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন সুস্মিতা।
আবার এই ধারাবাহিকটির টিআরপি অত্যন্ত কম হওয়ার কারণে তা মাত্র আড়াই মাসের মাথায় অফ এয়ার হয়। কয়েক মাস পর শুরু হয় আরও একটি নতুন ধারাবাহিক ‘পঞ্চমী’। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে নাগকন্যার ভূমিকায় নজর কেড়েছিলেন সুস্মিতা। প্রথমে ‘পঞ্চমী’ দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও পরবর্তীকালে টিআরপি ক্রমশ নিম্নমূখী হয়।
সম্প্রচার শুরুর এক বছর হতে না হতেই অফ এয়ার হয়ে যায় ‘পঞ্চমী’। এখন সুস্মিতা কয়েকটি ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট করছেন। আর অপেক্ষা করছেন নতুন কাজের জন্য। দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগপতি অনির্বাণ রায় (Anirban Roy)-এর সাথে সম্পর্কে রয়েছেন সুস্মিতা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ‘স্টারস অফ বেঙ্গল’-এর কর্ণধার অনির্বাণ। সম্প্রতি জি বাংলার গেম শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’-র তরফে বিশ্বনাথ (Bishwanath) পৌঁছে গিয়েছিলেন অনির্বাণ এবং সুস্মিতার সামনে। তাঁদের খেলার মাঝে একের পর এক প্রশ্নবাণের উত্তর দিতে হল অনির্বাণ এবং সুস্মিতাকে। অনির্বাণের কথা থেকেই জানা যায়, মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সুস্মিতা।
View this post on Instagram
মজা করে বিশ্বনাথ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কি দেখে সুস্মিতাকে সিলেক্ট করেছিলেন অনির্বাণ! অনির্বাণ জানালেন, সিলেক্ট করার জন্য বিচারকরা থাকেন। কিন্তু অনির্বাণের পছন্দ হয়েছিল কাজের প্রতি সুস্মিতার ডেডিকেশন। অনির্বাণ জানালেন, যখন তাঁদের লাঞ্চ ব্রেক থাকত, তখন অন্যরা টিফিন খেতে ব্যস্ত থাকতেন এবং ছবি তুলতেন।
সুস্মিতা সেই সময় র্যাম্প ওয়াক প্র্যাকটিস করতেন। বিচারকদের সামনে কিভাবে নিজের পরিচয় ব্যক্ত করবেন, তার মহড়া করতো। সেই দেখেই সুস্মিতার প্রতি অনির্বাণের ভালোলাগার আরম্ভ। বিশ্বনাথ জানতে চাইলেন, কবে সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন সুস্মিতা ও অনির্বাণ! সুস্মিতা জানালেন, আরও কিছুদিন সময় চান তাঁরা। একটু গুছিয়ে নিতে চান, ভালো কাজ করতে চান। বিশ্বনাথ মজা করে বললেন, তা করতে গিয়ে যেন কলপ করার দিন না চলে আসে! বিশ্বনাথের কথায় হেসে ফেলেন সুস্মিতা এবং অনির্বাণও।