মহালয়ার পরের দিন নিরামিষ, বিসর্জনের পর আমিষ

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজোলঃ  মহালয়ার পরের দিন নিরামিষ, বিসর্জনের পর আমিষ।

মহালয়ার পরের দিন থেকেই দেবী দুর্গা মায়ের কাছে মঙ্গল কামনায় গ্রাম জুড়ে নিরামিষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। দশমীতে দেবী মূর্তি বিসর্জনের পরের দিন থেকেই আবার শুরু হয় আমিষ খাওয়ার প্রচলন। পুজোর কটাদিন মন্ডপে দেবী দুর্গার ভোগ হিসেবে থাকে পাঁচ রকমের মিষ্টি যেমন পান্তুয়া, কানসাট, রসগোল্লা, লালমোহন, রসকদম্ব এবং সন্দেশ।

আরও পড়ুন -  খুব সাহসী দৃশ্যে রয়েছে প্রতিটি মুহূর্ত, আগে ঘরের দরজা বন্ধ করুন, তারপর দেখবেন ওয়েব সিরিজটি

এছাড়াও থাকে লুচি ও সুচি। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো নিয়ম মেনেই গাজোল ব্লকের চাকনগর এলাকার কায়েপাড়ার দেবী দুর্গার পুজো এই ভাবেই হয়ে আসছে।

দেবী মায়ের পুজোর জন্য গ্রামের সবাই নিরামিষ আহার করেন। মন্ডপ প্রাঙ্গনে কোনরকম আমিষের ছোঁয়া থাকে না। পুজোটি অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয়। অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার ধুম পড়ে যায়। পুজোকে ঘিরে মেলা বসে, সেখানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করে।

আরও পড়ুন -  New Electric Car: নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি টাটার

চাকনগর দুর্গাপূজা কমিটির সেবায়েত শম্ভুনাথ রায় বলেন, মহালয়ার পরের দিন থেকেই গ্রাম জুড়ে সকলেই নিরামিষ খাওয়ার খান দশমী পর্যন্ত। এটি গাজোলের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। আমরা গ্রামের সবাই মিলে পুজোর আয়োজন করি। এই পুজোর সূচনা ঘিরে নানান কথা প্রচলিত রয়েছে। প্রায় ২০০ বছর আগে টাঙ্গন নদীতে প্রচুর জল থাকতো। একদিন নদীতে মায়ের কাঠামো ভেসে ওঠে। সেই কাঠামো সংরক্ষণ করা হয়। পড়ে স্বপ্নদেশে মায়ের পুজো শুরু হয়। এখন কমিটি গড়ে পুজো করা হয়। এখানে দেবী মাতা খুব জাগ্রত। গ্রামের সকলে ভক্তি শ্রদ্ধা করেন। পুজোতে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারাও মায়ের দর্শনের জন্য আসেন। পুজোর দিনগুলিতে সবাই নিরামিষ খান। ফল এবং মিষ্টি দেওয়া হয়। সবাই উপবাস থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি দেয়। প্রাচীন নিয়ম রীতি মেনে পুজো হয় আসছে।

আরও পড়ুন -  বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী মিঃ বরিস জনসনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা