United States: মিলল ১১৫ মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রে পরিত্যক্ত ভবনে

Published By: Khabar India Online | Published On:

একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে ১১৫ জনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমন্ট শহরের পরিত্যক্ত একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত ভবনটি রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। তারা টাকার বিনিময়ে মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

সেই প্রতিষ্ঠানটিই সেখানে এতগুলো মরদেহ রেখেছিল। কেন রেখেছিল, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন -  যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, আফ্রিকার চার দেশের ওপর

প্রতিষ্ঠানটির মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, তিনি এই ভবনটিতে মরদেহের ট্যাক্সিডার্মির কাজ করতেন। মরদেহগুলোর ট্যাক্সিডার্মি করার পরও কেন দুর্গন্ধ ছড়াল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। ট্যাক্সিডার্মি হলো এমন এক পদ্ধতি, যার সাহায্যে মানুষ বা কোনো প্রাণীর মরদেহের চামড়াকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

রিটার্ন টু নেচার ফিউনারেল হোমের মালিক জন হালফোর্ড দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভবনটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন। কিন্তু ঝামেলা কী ধরনের সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি এখনো।

আরও পড়ুন -  অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হবে, শ্রীকৃষ্ণের মন্ত্র পড়ুন

কলোরাডো অঙ্গরাজ্য সরকারের নথি বলছে, হালফোর্ড অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং সৎকারের জন্য ভবনটির নিবন্ধন করলেও সেখানে ট্যাক্সিডার্মি করার কোনো অনুমতি ছিল বলে তার নিবন্ধনপত্রে লেখা নেই। আগামী মাসেই ভবনটির নিবন্ধনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।

ফ্রেমন্টের শেরিফ অ্যালেন কুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে অভিযুক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজ্যের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিভাগ জানিয়েছে, ভবনটির ভেতরের দৃশ্য পুরোপুরি ভয়াবহ। পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় টেক্সটাইল এবং কৌশল, ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ

ফ্রেমন্ট কাউন্টির করোনার র্যান্ডি কেলার জানান, অধিকাংশ মরদেহই গলে গেছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য সেগুলোর আঙুলের ছাপ, ডেন্টাল রেকর্ড বা ডিএনএ টেস্ট করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক মাস লাগবে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে জানানো হবে।

ছবিঃ সংগৃহীত।