পাকিস্তানের সহজাত প্রবৃত্তি, কঠিন ম্যাচকে সহজ করে জেতা ও সহজ ম্যাচকে কঠিন করে হারা। এছাড়াও দলটির ব্যাটিং কিংবা বোলিং সব বিভাগে ব্যালেন্সড এবং অপ্রতিরোধ্য একটা দল হিসেবে মনে করা হয়। ভারত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে সেই পাকিস্তান।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে হায়দরাবাদে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য তুলনামূলক সহজ হলেও আগে থেকে সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না।
২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দলটির টপ ব্যাটিং অর্ডারে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ফখর জামান এবং ইমাম–উল–হকের পাশাপাশি বাবর আজমও হয়ে ওঠেন ভরসার প্রতীক।
এছাড়া মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ-সৌদ শাকিলেরা ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিতে সক্ষম। বোলিংয়ে দেখা যায় শাহিন শাহ আফ্রিদিসহ একাধিক বোলারের দ্যুতি। এর ফলে দলটিকে অনেকাংশেই ফেভারিট হিসেবে ধরা যায়।
আবার নেদারল্যান্ডসকেও হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। ডাচরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের মতো দলকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেছে।
তারাও ভালোকিছু করার সক্ষমতা রাখে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
মাঠে নামার আগে নেদারল্যান্ডসের অলরাউন্ডার বাস ডি লিডি বলেছেন, ‘আজকের ম্যাচের জন্য আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমরা শুধু এই ম্যাচ নয়, সেমিফাইনালেও খেলতে চাই। সেজন্য আমাদের ৪-৫টি ম্যাচ জিততে হবে। দারুণ ক্রিকেট খেলতে হবে। সেই পর্যন্ত ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয়। পরস্পরের বিরুদ্ধে সপ্তম। আগের ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে বিশ্বকাপে খেলেছে দু’টি ম্যাচ।
বিশ্বকাপে দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়ে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছিল সাইদ আনোয়ারের অপরাজিত ৮৩ রান ও ওয়াকার ইউনুসের বিধ্বংসী বোলিংয়ে (৪/২৬)।২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বোল্যান্ড পার্কে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিতীয়বার। পাকিস্তান জিতেছিল ৯৭ রানে। এবার এখানে আবার মুখোমুখি পাকিস্তানের সাথে।
ছবিঃ সংগৃহীত।