চলতি বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহের জায়গায় জুনের শেষদিকে প্রথম বর্ষার রূপ দেখেছিল দেশবাসী। সাধারণভাবে বর্ষায় যে ভারী বৃষ্টি হয়, তা এবার হয়নি একাধিক রাজ্যে। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি হলেও আবার বেড়েছে অস্বস্তি। কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েই আবহাওয়া হয়ে গেছে শুকনো।
সেপ্টেম্বর কেটে অক্টোবর মাস শুরু হয়েছে। আর এই মাসেই এবার নিম্নচাপের প্রভাবে ভাসছে একাধিক রাজ্য। উৎসবের মাসে কার্যত ভিলেন হয়েছে নিম্নচাপের সাথে ঘূর্ণাবর্ত। মৌসম ভবনের কথা মিলিয়ে বিগত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির জেরেই ভাসছে একাধিক রাজ্য।
ইতিমধ্যে সিকিম সহ গোটা উত্তরবঙ্গে বন্যার ভয়াল ভয়ঙ্কর রূপ দেখাচ্ছে। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্যায় ডুবেছে উত্তর সিকিম। আবার দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও তৈরি হয়েছে বানভাসি পরিস্থিতি। সেখানে ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এই বন্যার প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ভারী বৃষ্টির সাথে নদীবাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই বন্যায় ভাসতে চলেছে একাধিক জেলা।
ইতিমধ্যে, গতকাল এবং পরশু বিপুল পরিমানে জল ছেড়েছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন বা DVC। গতকাল মোট ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে। এর জেরেই জলের চাপ ক্রমশ বাড়ছিল দর্গাপুর ব্যারেজে। সেখান থেকেই বেশি পরিমাণে জল ছাড়া শুরু হয় গতকাল। তার জেরে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলি সহ একাধিক জেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে দেখা গেছে প্লাবন। এর জেরে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে এই জেলাগুলি।
বৃহস্পতিবারও ছবিটা একইরকম। জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টির কারণে আজও বিপুল পরিমাণে জল ছেড়েছে ডিভিসি। আজ মাইথন জলাধার থেকে ৩০ হওয়ার কিউসেক ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর চাপ বেড়েছে।
খুব শীঘ্রই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়া হতে পারে। এমনটা হলে বাঁকুড়া জেলা সহ একাধিক জেলায় বন্যার আতঙ্ক হচ্ছে।