ত্বক হচ্ছে আপনার সৌন্দর্যর একটি আয়না। নিজেকে বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য যেটা চেষ্টা করেন তা আপনার শরীরে কোথাও জমা হয়। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের চামড়ার এলার্জি আছে। অধিকাংশ মানুষ এটি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো প্রতিকার গ্রহণ সেই রকম ভাবে করেন না।
অনেকেই জানেন না যে, সঠিক চিকিৎসার অভাবের তাদের ত্বক খুব খারাপ হতে পারে ও ক্ষতি করতে পারে। একটু যত্ন নিলেই মুক্তি পাবেন মুখের অস্বস্তিকর অবস্থার কাজ থেকে।
আপনি যদি কিছু ঘরোয়া উপায় মানতে পারেন তাহলে খুব উপকার। জেনে নিন গালের এলার্জি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়ঃ
অলিভ অয়েলঃ
বেশি ভার্জিন জলপাই তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আশ্চর্যজনক ভাবে কাজ করতে পারে। এই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল চুলকানি কমায়।
কোল্ড শাওয়ারঃ
ঠান্ডা জল দিয়ে স্নানের সময়ে ত্বকের জ্বালা ও এলার্জি হ্রাস করতে সহায়তা করে। শীতল ঝরনা আপনার রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত করে। সাথে হিস্টামিন বেরোতে দেয় না। অ্যালার্জির তীব্রতা ও ত্বকের জ্বালাও কমায়।
নিমপাতাঃ
নিমপাতা ত্বকের লালচেভাব, ফোলাভাব ও চুলকানি দূর করে। কয়েকটি নিম পাতা পেস্ট করে যেখানে এলার্জি দেখা দিয়েছে সেই স্থানে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট রাখবেন তারপর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরাঃ
অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক ওষুধি ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য প্রাকৃতিক নিরাময়ের প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। এটি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটিকে গতি দেয়। প্রশস্ত স্বস্তি দেয়। দেহের ত্বকের অ্যালার্জির অন্যতম সেরা প্রতিকার।
পাতা থেকে এক চা চামচ জেল বের করুন বা কিনে নেয়া অ্যালোভেরা পণ্য থেকে এক চা চামচ জেল নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে জেলটি সরাসরি ছড়িয়ে দিন। প্রায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। বেশ কয়েকদিন দিনে তিনবার প্রয়োগ করুন, ভালো ফল পেয়ে যাবেন।
তুলসি পাতাঃ
তুলসি পাতাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি আছে যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দেয়। বেশি করে তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতাগুলো পেস্ট করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। দিনে কয়েকবার লাগালে ভালো হয়।
নারকেল তেলঃ
শিশু ও শিশুদের মধ্যে ত্বকের এলার্জির একটি নিরাপদ ঘরোয়া উপায় হলো নারকেল তেল। এক চা চামচ নারকেল তেল হালকা গরম করুন, তারপর আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। প্রায় ৩০ মিনিট রাখার পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ত্বক শুকিয়ে নিতে হবে। নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত দিনে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করে দেখুন।