তারিখ ঘোষণা, পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের

Published By: Khabar India Online | Published On:

সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি ভোট হবে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। ইসিপি বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার সীমানা প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সীমানাসংক্রান্ত আপত্তি এবং পরামর্শ শুনে ৩০ নভেম্বর নির্বাচনী আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপর ৫৪ দিনের নির্বাচনী তফসিল শেষ হওয়ার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসিপির এ বিবৃতি অবশেষে নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। পূর্ববর্তী সরকার একটি নতুন আদমশুমারির অনুমোদন দিয়েছিল। ওই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচনের আগে নতুন সীমানা নির্ধারণে নির্বাচনী সংস্থার বাধ্যবাধকতা তৈরি হওয়ায় নির্বাচনের অযাচিত বিলম্বের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো।

আরও পড়ুন -  প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর পাশাপাশি, ভারত - আফ্রিকা প্রতিরক্ষা নিয়েও আলোচনা হবে

এ বছরের আগস্টের শুরুতে জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের অকাল বিলুপ্তির কারণে ৯০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ইসিপির বাধ্যবাধকতা ছিল, এর অর্থ ৬ নভেম্বরের পর নির্বাচন হওয়া উচিত নয়।

ইসিপি বলেছে, নির্বাচনের আগে তারা নতুন সীমানা টানতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেই জন্য ৯০ দিনের সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন -  Three Black Laws: তিনটি কালো আইন বাতিল করতে হবে, সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও প্রগ্রেসিভ ফার্মার ফ্রন্ট

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোও দেশে বিরাজমান অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে নির্বাচন কমিশনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যও অবাধ, সুষ্ঠু এবং সময়মতো নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।

আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, কাউন্সিল অব দ্য কমন ইন্টারেস্টে (সিসিআই) নতুন জনশুমারি অনুমোদন এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সংসদীয় এলাকা পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্বাচন মার্চ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের পর ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আরও পড়ুন -  ডিএ বাড়ছে ১১ শতাংশ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের

গত মাসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার সঙ্গে দেখা করে ‘অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন’-এর জন্য তার দেশের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৮৯তম দিন আগামী ৬ নভেম্বর।

সূত্রঃ ডন, রয়টার্স। ছবিঃ সংগৃহীত।