অবশেষে অপেক্ষা আইফোনপ্রেমীদের শেষ হলো। উন্মুক্ত হয়েছে অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আইফোনের ১৫ সিরিজ। আইফোন নিয়ে চলছে অনেক রকমের গুঞ্জন। মঙ্গলবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের সদর দপ্তরে আইফোন ১৫ সিরিজের সাথে, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯ এবং অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ২ উন্মোচন করা হয়েছে।
অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে বিশ্বজনীন টাইপ সি চার্জার ব্যবহার করা যাবে। বহুদিন ধরে আইফোনে টাইপ সি চার্জার যোগ করার দাবি উঠেছিলো। শেষ পর্যন্ত আইফোন ১৫-তে সেই চার্জার যুক্ত করেছে অ্যাপল।
জানা গেছে, আইফোন ১৫ এবং ১৫ প্লাস ফোন দুটির প্রধান ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। গত বছর আইফোন ১৪ প্রো মডেলে যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেছিল অ্যাপল, আইফোন ১৫ এবং ১৫ প্লাস ফোন দুটিতে একই হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেছে। ক্যামেরা অ্যাপে নতুন টেলিফটো অপশন ব্যবহার করা হয়েছে। ফোন দুটি পিঙ্ক ও ইয়েলো, গ্রিন, ব্লু ও ব্ল্যাক কালারে বাজারে পাওয়া যাবে।
আইফোন ১৫’র ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯৯ ডলার। আইফোন ১৫ প্লাস এর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯৯ ডলার।
এখানে সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে এসেছে আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স। অ্যাপল বলছে, ফোন দুটিতে বিশ্বের সর্ব প্রথম ৩ ন্যানোমিটার চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সাথে যুক্ত করা হয়েছে নতুন এ১৭ প্রো চিপ।
ফোন দুটিতে আইফোনের সিগনেচার আইকনিক সাইলেন্ট সুইচের বদলে সংযুক্ত করা হয়েছে অ্যাকশন বাটন। কার্যকারিতা অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রার অ্যাকশন বাটনের মতো। ব্ল্যাক টাইটেনিয়াম, হোয়াইট টাইটেনিয়াম, ব্লু টাইটেনিয়াম ও ন্যাচারাল টাইটেনিয়াম এই চার রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স।
১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের আইফোন ১৫ প্রো’র দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৯ ডলার। একই ভ্যারিয়েন্টের আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স’র দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯৯ ডলার।
অ্যাপল জানিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ফোনগুলোর অর্ডার নেওয়া শুরু করবে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা পেয়ে যাবেন হাতের মুঠোয়ে।
ছবিঃ সংগৃহীত।