বিনোদন দুনিয়া থেকে আসছে একের পর এক খারাপ খবর। দিনের পর দিন যেন জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। চল্লিশ বছরে পৌঁছানোর আগেই অনেকের জীবনরেখার সমাপ্তি হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চাশ বছর বয়সে পৌঁছে গেলেই ইদানিং অনেকের মনে হচ্ছে, কিছুটা সময় জীবন তাঁদের উপহার দিয়েছে। কিংশুক চট্টোপাধ্যায় (kingshuk Chatterjee)-কে জীবন এই সময়টুকু দিল না। মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে বহু কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেলেন, লেখক-কবি এবং গীতিকার।
ফেসবুকে কিংশুকের সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে সঙ্গীতশিল্পী সৌম্য বসু (Soumya Basu)। কিংশুকের অকালপ্রয়াণের দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। ‘সৌম্য’স অ্যাকাডেমি’ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য এবং স্বভাব বাউল কিংশুকের ছবির নিচে ক্ষমা চেয়ে সৌম্য লিখেছেন, কিংশুক যোগ্য সম্মান পাননি। হৈমন্তী শুক্লা (Haimanti Shukla), শিলাজিৎ (Shilajit), নচিকেতা (Nachiketa), রূপঙ্কর (Rupankar)-এর মতো শিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন বারাসতের বাসিন্দা কিংশুক।
অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন গান লেখা বন্ধ ছিল কিংশুক এর। লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। 2016 সাল থেকে আবারও গান লেখা শুরু করেছিলেন কিংশুক। সৌম্য জানিয়েছেন, ফিল্মের জন্যও গান লিখেছিলেন তিনি।
ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিংশুক। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। সোমবার আচমকাই কিংশুকের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত দক্ষিণ কলকাতার সোনারপুর অঞ্চলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার সকালে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন কিংশুক। তাঁর প্রয়াণে ঘনিষ্ঠ মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। খবরইন্ডিয়াঅনলাইন ( KhabarIndiaOnline )-এর তরফে কিংশুকের পরিবার কে জানাই সমবেদনা।