ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির আসামি হিসেবে ট্রাম্পের মুখচ্ছবি বা মাগশট প্রকাশের পর ৭১ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। বৃহস্পতিবার জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টায় কয়েদি হিসাবে ট্রাম্পের মাগশট বা মুখচ্ছবি প্রকাশের পর এ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এই তথ্য জানিয়েছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলে হস্তক্ষেপের মামলায় গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আটলান্টা কারাগারে আত্মসমর্পণ করার জামিন পেয়েছেন। এখন ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন ট্রাম্প।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও তিনটি অভিযোগ। এগুলোর মধ্যে দুটি হচ্ছে, নির্বাচনে কারচুপির মিথ্যা দাবি ও অপরটি হচ্ছে, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা সংক্রান্ত অভিযোগ।
ট্রাম্প অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই রিপাবলিকানদের মধ্যে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
জর্জিয়া ও ক্যাপিটলে দাঙ্গার অভিযোগ মাথায় নিয়েও নির্বাচনী প্রচারে বেশ জোরে চালাচ্ছে ট্রাম্প শিবির। প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি ২০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
জর্জিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ট্রাম্প শিবির ৪.১৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। বলা হচ্ছে যে, নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটিই তাদের সংগ্রহ করা সবচেয়ে বেশি অঙ্কের তহবিল।
এছাড়া, নিজেদের অনলাইন দোকান থেকে পণ্য বিক্রি ও সমর্থকদের কাছে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠিয়েও অর্থ সংগ্রহ করেছে ট্রাম্পের শিবির।
গত বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ নিজের ওয়েবসাইটের ঠিকানা সাথে মাগশট পোস্ট করেন, সঙ্গে বড় হাতের অক্ষরে ক্যাপশনে লেখেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ। কখনোই আত্মসমর্পণ নয়!
একই দিনে ট্রাম্পকে জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ও তার মাগশট (মুখমন্ডলের ছবি) নেয়া হয়। ২০০,০০০ ডলার মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ রয়টার্স।