‘জাঞ্জির’ ছবির মোনা ডার্লিং ৮২-তেও নট আউট। ৭০-৮০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৪১ সালের ১৭’ই এপ্রিল গুজরাটে জন্ম হয়েছিল। ১৯৬২-তে ‘আনপাড়’ ছবি দিয়েই অভিনয় জীবন শুরু।
বলিউডের অন্যতম প্রথম সারির অভিনেত্রী বিন্দু। ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হতে এসেও খলনায়িকা হিসাবেই খুব পরিচিতি পেয়েছিলেন। এখন পর্দায় সেভাবে দেখা মেলে না তার।
১৩ বছর বয়সেই নিজের বাবাকে হারিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিজের গোটা পরিবারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের হাতে। সময়ের সাথে সাথে নিজের পাড়ার চম্পকলাল জাভেরির প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী। তারপরে বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হন। তিনি যখন নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন তখন গোটা ইন্ডাস্ট্রির মানুষ তার মধ্যে অনেক ত্রুটি খুঁজে পেয়েছিলেন। কেউ কেউ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, তিনি বড়পর্দার অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্য নন। একথা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বিন্দু। পরে নেতিবাচক চরিত্রের দিক দিয়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন।
View this post on Instagram
‘জাঞ্জির’ ছবিতে মোনা নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিন্দু। ছবিতে মোনা ডার্লিং হিসাবেই ছিলেন। পরবর্তীকালে দর্শকদের মাঝেও এই নামে পরিচিতি হয়েছিলেন। আজও সেই চরিত্র দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর থেকে নেতিবাচক চরিত্রেই বেশি অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে অত্যাচারী শাশুড়ি এবং খলনায়িকার ভূমিকাতেই বেশি দেখা গিয়েছিলো। পরবর্তীকালে ইন্ডাস্ট্রিতে আইটেম কুইন হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বেশ কিছু ভাইরাল হওয়া ছবির সূত্রেই মিডিয়ার পাতায় চর্চার আলো এলেন অভিনেত্রী বিন্দু।
উল্লেখ্য, তাঁর অভিনয় ছবিগুলি-‘হাওয়াস’, ‘বিবি হো তো অ্যাসি’, ‘কাটি পাতাঙ্গ’, ‘দো রাস্তে’, ‘বানারাসি বাবু’, ‘আসো বানে আঙ্গারে’, ‘পেয়ার ঝুকতা নেহি’, ‘মহা বাদমাস’, ‘জোশিলা’, ‘ইত্তেফাক’, ‘নাতিজা’, ‘প্রেমশাস্ত্র’, ‘নাফরাত’, ‘আনহোনি’, ‘অমর প্রেম’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘ম্যা হু না’, ‘দুশমন’, ‘প্রেম রোগ’, ‘বেশারাম’ এবং ‘বন্দনা’ একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন।