এখন খবরের শিরোনামে আছেন মিষ্টি সিং (Misty Singh)।বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। প্রচুর কাজ করেন না। কিন্তু মিষ্টির বিলাসবহুল জীবনযাত্রা সকলের নজর পড়ে। কয়েক মাস আগে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁর শৈশবের বন্ধু রেমো (Remo)-র সাথে রাজকীয় জাঁকজমকের মাধ্যমে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন।
শুধুমাত্র রাজকীয় বিয়ে নয়, হানিমুনে রেমোর সাথে বিদেশে গিয়েছিলেন। মিষ্টির বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কারণে তাঁকে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
মিষ্টির একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। তাতে তিনি খোলসা করলেন তাঁর রাজকীয় জীবনযাত্রার কি রহস্য। মিষ্টি জানালেন, শৈশব থেকেই তিনি এই ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাঁর বাবা স্কলার হওয়ার কারণে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ওই দেশের বিভিন্ন কলেজে আমন্ত্রিত হন।
সোশিওলজি, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ইতিহাসের মতো বিষয় পড়াতেন। বিদেশ যাত্রা মিষ্টির কাছে নতুন কিছু নয়। মিষ্টি ইউটিউব চ্যানেলে এই কথা বললেও বিয়ের আগে বলেছিলেন, খুব ছোটবেলায় একবারই মাত্র ইউরোপ ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই জন্য হানিমুনে ইউরোপ গিয়ে সেই স্মৃতি সজীব করতে চান মিষ্টি। হানিমুনে আমস্টারডাম, প্যারিসের মতো বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর জামাইবাবু ফ্রেঞ্চ। হানিমুনে গিয়ে মিষ্টি তাঁদের বাড়িতেই ছিলেন।
মিষ্টি আরও জানিয়েছেন, তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ যথেষ্ট। রয়েছে দুঃস্থ শিশুদের জন্য একটি এনজিও যা তাদের আশ্রয় এবং পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। এই এনজিও-র নানান কাজ ফ্রান্স থেকে হয়। শৈশব থেকেই পথশিশুদের জন্য কাজ করেন বলে জানিয়েছেন মিষ্টি। তাঁরা ধনী হলেও মিষ্টির পঢ়শোনার প্রতি তাঁর পরিবারের যথেষ্ট নজর ছিল। লরেটো স্কুল থেকে ছিয়াত্তর শতাংশ মার্কস নিয়ে পাশ করার পর শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন মিষ্টি। এরপর এডুকেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। পরে ইংরাজিতেও স্নাতকোত্তর পাশ করেন মিষ্টি। তারপর বিএড করেন।
মিষ্টিদের নিজস্ব স্কুল সাথে বিএড কলেজ আছে। মিষ্টি পড়াশোনা শেষ করে এসেছিলেন অভিনয় দুনিয়ায়। যে সময়ে শুটিং থাকে না, মিষ্টি তাঁদের স্কুল এবং বিএড কলেজে পড়ান। বিয়ের সময় অভিনয় থেকে বিরতি নিলেও খুব শীঘ্রই শুটিং ফ্লোরে ফিরতে চলেছেন।
View this post on Instagram