Bullet Train: ভারতে বুলেট ট্রেন চালু হওয়ার সময় প্রকাশ্যে আনলেন রেলমন্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসার পর থেকেই জাপানের মতো ভারতে সুপারফার্স্ট, বুলেট ট্রেন চালু করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

তাঁর সেই স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। শীঘ্রই আসতে চলেছে জাপানি প্রযুক্তিতে নির্মিত সুপারফার্স্ট বুলেট ট্রেন। দেশের বিভিন্ন রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য পরিকাঠামো এবং করিডর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক এবং সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেনের জন্য ভারত চুক্তি করেছে জাপানের একটি সংস্থার সঙ্গে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির অধীনে হিটাচি রেল সাথে কাওয়াসাকি নামের ২টি সংস্থা বুলেট ট্রেন তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে। ট্রেনটির পরিকাঠামো সহ পুরো কাজটি দেখাশোনা করবে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড। এই সংস্থা জানিয়েছে, বুলেট ট্রেনটির কোচগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হবে। কোচের সংখ্যা থাকবে ১০ টি। ট্রেনটি ৬৯০ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে।

আরও পড়ুন -  Indian Railways: লোয়ার বার্থ বুক করুন সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই ভাবে

প্রতি ঘণ্টায় শিনকানসেন ট্রেনটির গতিবেগ ৩২০ কিলোমিটার। আরও জানা গেছে, জাপানি প্রযুক্তিতে E5 সিরিজ শিনকানসেন ট্রেনের কোচগুলি বিশেষভাবে তৈরি হবে। এমনভাবে তৈরি ভারতের গরম আবহাওয়া ও ধুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্রেনের গতি বজায় রাখতে পারবে।

আরও পড়ুন -  ভারতীয় রেলওয়ে: ট্রেনে শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ভ্রমণ সুবিধা, জানুন বিস্তারিত

মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইস্পিড এই রেল প্রোজেক্টের জন্য এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা।

এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন যে, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের মাটিতে প্রথমবারের জন্য বুলেট ট্রেন চলতে শুরু করবে। জানা গেছে, ২০২৬ সালে প্রথম গুজরাটের সুরাট ও বিলমুড়ার মধ্যে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল।

প্রথম যে রুটে বুলেট ট্রেন চলবে তা হল আমেদাবাদ ও মুম্বাই। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুলেট ট্রেনে করে আমেদাবাদ থেকে মুম্বই পৌঁছানো যাবে মাত্র ২ ঘন্টা ৭ মিনিটে, এখন ট্রেনে পৌঁছাতে সময় লাগে ৬ ঘন্টা।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবে বামফ্রন্ট ? কি বললেন বিমান বসু ?

এই কাজের বিবরণ দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী জানান যে, ইতিমধ্যে ৬১ কিলোমিটার রুটে পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, ১৫০ কিলোমিটার রুটে এই কাজ শুরু হয়েছে। অপরদিকে রুট বানানোর জন্য ইতিমধ্যে ৯০% জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। ২০২৬ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।