কয়েকদিন আগে বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে আবার চর্চায় এসেছিলেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। তখন তার কথায় ফুটে উঠেছিল তিক্ততা। এক কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “মনে রেখো তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও প্রেজেন্ট রয়েছে। তুমি যদি সতী হও, আমি তার চেয়ে অনেক বেশি সতী। আমাকে কোনওদিন নগ্ন ছবি মন্ত্রী বা এমএলএ-র কাছে পাঠিয়ে টিকিট পেতে হয়নি।” আবার একই ভঙ্গিতে ফেঁটে পড়েছেন বৈশাখী, তার গলায় ভর্ৎসনার সুর।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, পুরনো দিনের কথা তুলে ধরলেন বৈশাখী, তাতে মিশে আছে রাগ এবং ঘৃণা। মনের জমানো ক্ষোভ উগড়ে বৈশাখী বলেন যে, এমন অনেক মহিলা আছেন যাঁরা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovon Chatterjee) মাঝরাতে ছবি পাঠাতো। বৈশাখীর কথায়, ‘ওই তাঁরাই যখন আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে তখন আমি তাঁদের সাবধান করে দিই। বলি, আমার সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। আপনারা কে কেমন আমি জানি।’
প্রাক্তন স্বামীর কথা মনে করে বলেন যে, তার প্রাক্তন স্বামী শোভনকে পছন্দ করতেন না, তিনি বলতেন, ‘যে শোভন জামার থেকে থেকে বেশি মহিলা বদলান তাঁর সঙ্গে থাকতে পারবে?’ উত্তর অবশ্য বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় শোভন বাবুর সাথে এক ছাদের তলায় থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বৈশাখী দেবী এও বলেন ওই সংবাদমাধ্যমে, যখন তার জীবনে টালমাটাল অবস্থা ছিল সেই সময়ে শোভন বাবু জীবনে আসেননি, বাকি অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরা তাকে দুর্বল মুহূর্তের ছবি পাঠাতেন। বৈশাখীর বিবাহিত জীবন সুখের না হওয়ার কারণে বহু পুরুষ তাদের ব্যাক্তিগত অবস্থায় অশ্লীল ছবি পাঠাতেন।
কড়া পদক্ষেপ নিতে পারলেও তিনি সেই সময় এই ব্যাপারগুলোকে পাত্তা দেননি। বর্তমান অবস্থার কথা টেনে বৈশাখী নিশ্চিত হয়ে বলেন যে, শোভনের জীবনে দ্বিতীয় কোনো নারী নেই তিনি ছাড়া। বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, “শোভন একমাত্র তাঁকে ছাড়া অন্য কোনও মহিলাকে ‘I Love You’ বলেননি। তাঁকেই একমাত্র বলেছিলেন। দুজনেই দুজনের খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দু জনের মধ্যে প্রথমে সাধারণ বন্ধুত্বই ছিল। পরে তা প্রেমে বদলে যায়। এই নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। বরং ভালোবাসা আছে”।