থামার নাম নেই, দিনে দিনে বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ ও মাংস, মশলাপাতি থেকে চাল এবং ডাল, সবকিছুর দাম হু হু করে ঊর্ধ্বমুখী। শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে সারা দেশে।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, সেটা মোটামুটি পরিষ্কার। সাথে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এই সবকিছু মিলিয়ে এখন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়েছে মধ্যবিত্তদের সামনে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলার বুকে এই চিত্রটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে। সপ্তাহখানেক আগেই বাংলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা অবধি। যেটি সাধারণত বাজারে ২৫০ টাকা প্রতি কেজির দামে বিক্রি হয়না। অপরদিকে টমেটোর দাম তো বিগত কয়েকমাস ধরেই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। পাশাপাশি নানা শাকসবজির দামেও একইভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। দাম বেড়েছে মাছ এবং মাংসের। ফলস্বরূপ সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মানুষকে।
এবার মধ্যবিত্তদের নিত্যপ্রয়োজনীয় আরেকটি জিনিসের দাম বাড়তে চলেছে বলেই অনুমান করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এবার ডালের দামে দেখা যাবে ঊর্ধ্বমুখী। যেমন মুসুর থেকে মুগ,অড়হর ডাল, রাজমা ও ছোলার দামও বাড়তে চলেছে। আগেই সমস্ত ডালের দাম কেজি প্রতিতে সেঞ্চুরি করেছে।
উল্লেখ্য, এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে অনেকেই বিভিন্ন কারণকে সামনে আনছেন। কারো মতে, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সামগ্রী পরিবহনের খরচ বেড়েছে। সেই কারণে এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি। কেও আবার এটিকে আড়তদারদের কারচুপি বলেও দাবি করেছেন।