মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন। জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরায় ফেরার সময় ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। ভারতীয় সেনার সেবক এয়ার বেসে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে।
জানা গেছে, বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। আচমকা দুলতে শুরু করে হেলিকপ্টার। জরুরী অবতরণ করার সময় তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে পায়ে এবং কোমরে চোট পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটপ্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে ছিল জনসভা। সেখান থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে বিকেলে কলকাতা ফেরার কথা ছিল। তার বাগডোগরা পৌঁছনোর আগেই দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টারকে। আচমকা জোরে জোরে নড়তে শুরু করে হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনা এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে দিক বদল করে সেবকের সেনা এয়ার বেসে জরুরি অবতরণ করে হেলিকপ্টারটি।
সচিবালয় সূত্রে খবর, সেনা এয়ার বেসে জরুরি অবতরণের সময় কর্তৃপক্ষের থেকে আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নেয়, আর অনুমতি নেয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি পাইলট। তড়িঘড়ি সেই কপ্টারের অবতরণ করানো হয় সেবক এয়ার বেসে। এসময় কোমরে এবং পায়ে বড়সড়ো চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতার।
তারপর সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা পৌঁছান মমতা, সেখান থেকে উড়োজাহাজে আসেন কলকাতা বিমানবন্দরে। বাইরে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতে না উঠে নিজের গাড়িতেই রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কেমন আছেন। গাড়ির সামনের সিটে বসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে না-সূচক হাত নাড়েন মমতা।
গ্রিন করিডোর করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে পায়ে এবং কোমরে মমতা প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন। তাই চোট কতটা গুরুতর খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ নিতে তাকে ফোন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে তিন মিনিট কথা হয়েছে।
সূত্রঃ এবিপি, সংবাদ প্রতিদিন। ছবিঃ সংগৃহীত