Ukraine: ইউক্রেনের দাবি, আট গ্রাম পুনরুদ্ধার

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন। গত দুই সপ্তাহে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে আজভ সাগর উপকূল বরাবর অংশে আটটি গ্রাম মুক্ত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। সোমবার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথ্য অনুযায়ী, এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কেবল পিয়াতিখাটকিই পুনরুদ্ধার করেনি, সাথে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ান লাইনে সাত কিলোমিটার অগ্রসর হয়ে ১১৩ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে।

আরও পড়ুন -  Lionel Messi: সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি, ইউরোপিয়ান লিগে

আগে, রবিবার রাশিয়ান-নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের পিয়াতিখাটকি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
অবশ্য পরে মস্কো তাদের বের করে দিয়েছে জানালেও, সোমবার সকালে তিনি জানান ইউক্রেন আবার আক্রমণ করেছে।

মালিয়ার রাশিয়ান-অধিকৃত উপকূলরেখার দুটি শহরের নাম উল্লেখ করে টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন, বার্দিয়ানস্ক ও মেলিটোপোলের দিকে দুই সপ্তাহের আক্রমণাত্মক অভিযানে আটটি বসতিকে মুক্ত করতে পেরেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্যদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের জন্য তিনি পশ্চিমা মিত্রদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন -  দিল্লিতে রুশ ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কী চাইছেন?

রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আমাদের সৈন্যরা অগ্রসর হচ্ছে, অবস্থানের ভিত্তিতে, ধাপে ধাপে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধান বিষয় হলো সরবরাহের গতি’।

সোমবার রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, তাদের বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের নোভোদোনেৎস্কে গ্রাম দখলের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে। এটা এমন একটি এলাকা যেখানে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণকে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে।ইউক্রেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ১৮ শতাংশ অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য তার দীর্ঘ-প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণে এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্টলাইনের বেশ কয়েকটি অংশে হামলার কথা স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন -  UN: দেশ ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয়, জাতিসংঘ

কিয়েভ নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের উপর ইনফরমেশন ব্ল্যাকআউট আরোপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাল্টা আক্রমণের মূল পর্ব এখনো শুরু হয়নি।যুদ্ধে উভয়পক্ষই ভারী ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। উভয়পক্ষই শত্রুদের তুলনায় কম সৈন্য হারানোর কথা দাবি করা হচ্ছে।

ছবিঃ সংগৃহীত