ফুল ফুটলো মহাকাশে, জিনিয়া

Published By: Khabar India Online | Published On:

গাছে ফুল ফুটেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন হয়তো সেখানে তাদের সবজি উৎপাদন প্রকল্পও সফল হবে। সেখানে নভোচারীদের খাবারের চাহিদা কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব।

জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে, মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।

দীর্ঘদিন ধরে নভোচারী ও বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে খাদ্যশস্য এবং গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা করে চলেছেন। মহাকাশে কীভাবে কৃষিকাজ করতে হবে। সে সম্পর্কে ধারণা পেতে কাজটি বিজ্ঞানীদের জন্য জরুরি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফুল ফুটে থাকা একটি জিনিয়াগাছের ছবি প্রকাশ করেছে। জিনিয়া ফুলটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) ফুটেছে।

আরও পড়ুন -  শ্রীমা ভট্টাচার্যের অভিজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ

তাতে নাসার বিজ্ঞানীর আশার আলো দেখছেন। জিনিয়া ফুলের ছবি পোস্ট করে নাসা লিখেছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে।

১৯৭০ সাল থেকে মহাকাশে উদ্ভিদের চাষাবাদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। কিন্তু মহাকাশে ফুল জন্মানোর প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৫ সালে। মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন এ কাজটি শুরু করেন। লিন্ডগ্রেন তখন মহাকাশে ‘সবজি উৎপাদনব্যবস্থা’ চালু করেছিলেন ও জিনিয়া ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  Plant-Based Diet: উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য সম্পর্কে, কিছু বিষয় আলোচনা করা যাক

মহাকাশে বাগান করার গুরুত্ব উল্লেখ করে নাসা আরও লিখেছে, ‘মহাকাশে বাগান করাটা আমাদের জন্য লোক দেখানো কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর কক্ষপথে (মহাকাশে) কীভাবে গাছ জন্মাতে হবে, তা জানার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়। আমরা চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহের মতো দীর্ঘমেয়াদি অভিযানগুলোতে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করতে পারব।’

আরও পড়ুন -  Sarita Mali: ফুল বিক্রি করতেন মুম্বাইয়ের রাস্তায়! পিএইচডি ডিগ্রি নিতে পাড়ি দিচ্ছেন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে

নাসার মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টমেটো, লেটুস ও অন্যান্য শাকসবজি জন্মিয়েছেন। আবার চিন্তা করছেন নতুন কিছু চাষাবাদের।

সূত্রঃ জিও নিউজ। নাসার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এর ছবি। ছবিঃ সংগৃহীত