রাজ্যজুড়ে চলছিল গ্রীষ্মের দাপট, রোদের চোখ রাঙানি। চরম দাবদাহে গত কয়েকদিন পুড়েছে রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলা। মে মাসের শেষ থেকেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আতঙ্ক কেটে যাওয়ার পরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয় তাপপ্রবাহ।
অবশেষে বঙ্গে পা রেখেছেন বর্ষা। গতকাল উত্তরবঙ্গে ঢুকেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। স্বাভাবিক নিয়মে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বর্ষা ঢোকে ৭ জুন। এবছর নির্ধারিত সময়ের ৫ দিন পরে বর্ষা এলো উত্তরবঙ্গে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ সিকিম ও বিহারে প্রবেশ করেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গ জুড়ে আগামী কয়েকদিন চলবে ভারী বৃষ্টিপাত। দক্ষিণবঙ্গেও হতে পারে বৃষ্টি।
পরশু থেকেই শহর কলকাতার হাওয়া বদল ঘটেছে। দু’এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে বিগত ২ দিনে। সন্ধ্যে হতেই একাধিক জায়গাতে আকাশ কালো করে মেঘের পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মিলেছে কলকাতা সহ সংলগ্ন বেশ কিছু জেলাতে। আজ সকাল থেকেই কলকাতায় হাওয়া রয়েছে মেঘলা। আজ কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি একই থাকবে
স্বস্তির খবর নেই দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য। কারণ মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ি আজ দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। অন্য জেলায় বজায় থাকবে গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া। জানা গেছে, মঙ্গলবার তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে। অপরদিকে, আজ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে৷ কবে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছবে এখনও নিশ্চিত নয় আবহাওয়া দফতর। দুদিন তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে, এমনটাই জানা গিয়েছে পূর্বাভাস।
উত্তরবঙ্গে গতকালই প্রবেশ করেছে বর্ষা। সেই কারণেই উত্তরের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকায়। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রয়েছে আজ এবং আগামীকাল বলে জানা গেছে।
প্রতীকী ছবি