ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র আতঙ্ক আর নেই বাংলায়। বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে তান্ডব চালানোর পর অবশেষে পাততাড়ি গুটিয়েছে সুপার সাইক্লোন। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে দাপট দেখিয়েছে। ভেঙেছে হাজার হাজার বাড়ি, তছনছ হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ২১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র পরোক্ষ প্রভাবে বিগত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে ফের তাপপ্রবাহ চলেছে কয়েকটি জেলায়। কিন্তু সোমবার বিকেলে কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও। সেই কারনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে দক্ষিণবঙ্গে।
১) আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ আশপাশের এলাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। বেলা গড়ালেই আকাশ ঢেকে যাবে মেঘে। কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৭ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কলকাতার ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি চলবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
২) হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজকে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়া জেলার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সবকটি জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
১৮ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বুধবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
৩) আজ দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সাথে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।