নিহত সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রশাসনের জাতীয় ঐক্যের সরকারের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী অং মাও মিন এ তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, বার্তাসংস্থা এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলে সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ বিমান হামলা চালানো হয়।
জাতীয় ঐক্যের সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বিমান হামলায় শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অনেক নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিয়ুনহলা গোষ্ঠী জানিয়েছে। হামলায় আরও অন্তত ২০ শিশুও নিহত হয়েছে। এমনকি হামলার পর চিকিৎসাকর্মীদের হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার মন্ত্রী অং মিও মিন।
আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অংসান সুচি’র নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা সরকার। তারপর থেকে জান্তা বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়েছে। ক্ষমতা দখলের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০০ বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকার। এরপর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত তিন হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
মিয়ানমার উইটনেস বলছে, বিক্ষোভে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ বিমান ব্যবহার করার বিষয়টি যাচাই করে দেখেছে তারা রক্তক্ষয়ী এ অবস্থাকে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এবং অন্যরা গৃহযুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত